আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলের মতো বড় শহরে ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানকে হতবাক করে দিয়েছে বিরোধী দল। এই বিজয়কে দেখা হচ্ছে এরদোগানের বিরুদ্ধে একটি গণভোট হিসেবে। নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন তিনি। তার সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সম্মিলিত বিরোধী দলের নেতা একরেম ইমামোগলু।
মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যেই ওই দুটি বৃহৎ শহর তার হাতছাড়া হয়ে গেল। একে এরদোগানের জন্য সবচেয়ে বড় এক আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। তুরস্কের মেগাসিটি ইস্তাম্বুলে এরদোগান নতুন যুগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবুও শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেয়েছেন ইস্তাম্বুলের ক্ষমতাসীন মেয়র ইমামোগলু। তিনি এরদোগানের দল একে পার্টির প্রার্থীর চেয়ে শতকরা ১১ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। এরদোগান ক্ষমতায় এসেছেন ২১ বছর আগে। তারপর এ প্রথমবার তার দল সারাদেশে ব্যালটে পরাজিত হলো।
এদিকে রাজধানী আঙ্কারায় বিরোধী দলের মেয়র মানসুর ইয়াভাস তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে শতকরা ৬০ ভাগ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে ছিলেন। ফলে অর্ধেকের কম ভোট গণনা হওয়ার সময়েই তারা বিজয় ঘোষণা করেন। সঙ্গে সঙ্গে সব মূল সড়কে নেমে পড়েন তার সমর্থকরা। তারা পতাকা দুলিয়ে, গাড়ির হর্ন বাড়িয়ে উল্লাস করতে থাকেন। এক কথায় রোববার দিবাগত রাত জেগেছিল এসব শহর। উল্লেখ্য, তুরস্কের ইজমির, বুরসা, আদানা, অবকাশযাপন কেন্দ্র আন্তালিয়াসহ বড় বড় শহরেও জয়ের পথে ছিল সিএইচপি।
এরদোগান বলেছেন, যেমনটা তিনি আশা করেছিলেন ফল তেমন হয়নি। তবে সবসময়ই জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করেছি। এবারও তাদের রায়ের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছি। উল্লেখ্য, ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলু এবং মানসুর ইয়াভাসকে বড় মাপের প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইমামোগলুর সমর্থকরা ড্রামের তালে তালে নেচে গাইতে থাকেন- ‘এভরিথিং উইল বি ফাইন’। ৫ বছর আগে এরদোগানের দলের কাছ থেকে ইস্তাম্বুলে মেয়র হিসেবে জয় পাওয়ার পর এই স্লোগান দিয়েছিলেন ইমামোগলু। বলেছিলেন- ‘ফুল স্পিড অ্যাহেড’।
কিউএনবি/আয়শা/০১ এপ্রিল ২০২৪,/বিকাল ৪:২৮