ডেস্ক নিউজ : সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধংস করেছে ক্ষমতাসীনরা। পরিকল্পিতভাবে ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে তারা নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছে। আর দেশের মানুষ নিজেদের ভোটের অধিকার হারিয়েছেন।
‘সরকার মোবাই সার্ভিলেন্স করছে, কেউ বিপ্লবের কথা বললেই তুলে নেয়া হচ্ছে। দেশ চালানোর কোনো নৈতিক অধিকার সরকারের নেই। তারা ছদ্মবেশী গণতন্ত্র চালু করেছে। শুধু তাই নয়, সরকার ব্যাংক একীভূত করছে দুর্নীতি করার জন্য’, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক লড়াই সহজ নয়, ১৫ বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছি। অত্যাচার, নির্যাতন, পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে অনেক নেতাকর্মীর। গ্রামের নেতাকর্মীদের অবস্থাও খুব খারাপ।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশের হুইসেল, সাউন্ড গ্রেনেড শুনলে পালাবে না এই ধরনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে। ইমরান খান দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে আন্দোলন করতে হয়, তরুণদের আন্দোলনে সক্রিয় করতে হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আন্দোলনের হাতিয়ার করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, কোনো দেশ আমাদের ওপর প্রভুত্ব করতে চাইলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। দেশকে পরাধীন করার ক্ষমতা কারও নেই। আওয়ামী লীগকে একদিন ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তাবে এজন্য সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে নামাতে হবে।সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্বে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে সেই আন্দোলননে সবাই রাজপথে যোগদান করুন। মোবাইল, ল্যাপটপ রাখুন ছাত্রজনতা। একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের মতো রাস্তায় নামুন।’
আওয়ামী লীগের মধ্যে গণতন্ত্রের চেতনা কখনও ছিল না মন্তব্য করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, জাতীয় নির্বাচন কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন পুলিশকে উদ্দেশ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
কিউএনবি/আয়শা/২৫ মার্চ ২০২৪,/দুপুর ১:২১