শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন

অবমুক্তির অপেক্ষায় ৮ বিরল প্রজাতির শকুন

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১০১ Time View

ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের চিরচেনা তীক্ষ দৃষ্টি সম্পন্ন বিশালাকার পাখি শকুন। বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধারকৃত এসব শকুন এখন পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রকৃতিতে অবমুক্তির অপেক্ষায়। উত্তারাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় হিমালিয়ানসহ বিভিন্ন বিরল প্রজাতির উদ্ধারকৃত শকুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়।

এ নিয়ে শনিবার পর্যন্ত উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির ৮টি শকুন এই কেন্দ্রে রয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে এসব উদ্ধারকৃত শকুনকে রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয় বলে জানান বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বনবীট কর্মকর্তা গয়া প্রসাদ।

প্রশস্থ ডানার ওপর ভর করে এরা আকাশের অনেক ওপরে ওড়ে। এদের মাথা, গলা বা ঘাড়ে পালক নেই। এদের প্রবল ডানা ঝাপটা আর সমস্বর বিকট শব্দে মানুষজন বুঝতে পারে শকুন এসেছে। কিন্তু এখন আর সেই চিরচেনা শকুনের দেখা পাওয়া যায় না। বট, পাকুড় কিংবা অশ্বথের মতো বড় বড় গাছে সাধারণত লোকচক্ষুর অন্তরালে শকুন বাসা বাঁধে। এরা সাধারণত গুহায়, গাছের কোটরে বা পর্বতের চূড়ায় ১-৩টি সাদা বা ফ্যাকাশে ডিম পাড়ে। বিভিন্ন প্রাণীর মৃতদেহ শকুনের দল মুহূর্তেই খেয়ে সাবাড় করে ফেলে। ফলে পচন ধরা গলিত মৃতদেহগুলো থেকে সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে না। শকুন দেখতে খুব সুন্দর পাখি তা নয়। কিন্তু নিঃসন্দেহে এরা মানবসমাজের জন্য উপকারী পাখি।
বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ৮ শকুনের জন্য গড়ে প্রতিদিন বয়লার মুরগী দেয়া হয়। এছাড়াও স্যালাইন পানি ও ওষুধ দেয়া হয় বলে জানায় শকুনের দেখভালের তদারককারী বেলাল হোসেন। প্রতিটি শকুনকে খাদ্য হিসেবে দু’দিন পর পর দেয়া হয় আধা কেজি বয়লার মুরগী।

বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বনবীট কর্মকর্তা গয়া প্রসাদ জানান, হিমালয়ে শীতের প্রকোপ বাড়লে দল বেঁধে শকুনগুলো আসে এবং বড় বড় গাছে আশ্রয় নেয়। বিলুপ্ত প্রায় এই শকুন বিশেষ করে শীতের সময় অন্য এলাকা থেকে দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলে অসুস্থ বা খাদ্যাভাবে ক্লান্ত অবস্থায় আসে। ঠিকমত উড়তে না পারায় সেসব শকুনকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়। একসময় পুরোপুরি সুস্থ হলে সেটিকে প্রকৃতিতে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতি বছরের মার্চ-এপ্রিলের দিকে এসব শকুনকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করে দেয়া হয়। বর্তমানে এখানে এধরনের ৮টি শকুন রয়েছে।

কিউএনবি/অনিমা/২০ জানুয়ারী ২০২৪,/বিকাল ৫:২৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit