লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : সুস্বাদু আর বেশ পরিচিত একটি ফল খেজুর, যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। খেজুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মোটামুটি সবাই জানি। শীতের সময়ে যেসব মৌসুমি রোগ আক্রমণ করে তা রুখতে দারুন কাজে দেয় খেজুর। তাই শীতের নাস্তায় খেজুর রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আজ আমরা আলোচনা করবো খেজুরের উপকারিতা নিয়ে ।
খেজুরের পুষ্টিগুণ
মিষ্টি ও পাল্পি খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য কার্যকরী। খেজুরে রয়েছে চিনি, ভিটামিন এবং প্রোটিন, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। খেজুর প্রোটিনের পাশাপাশি ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, এ১ এবং সি তে সমৃদ্ধ। খেজুরে কোলেস্টেরল থাকে না। এতে চর্বির মাত্রাও অনেক কম। খেজুরে উপস্থিত এই সমস্ত উপাদান স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী।
উপকারিতা
শীতকালে সর্দি-কাশির মতো রোগ এড়ানো যায়। অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের শীতে অনেক সমস্যা হয়, এমন মানুষদের খেজুর খাওয়া উচিত। এজন্য শুকনো আদার গুঁড়ো বানিয়ে খেজুরের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
খেজুর ত্বকের জন্য খুবই উপকারি খেজুর স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও উপকারি। এই ফলটিতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের যে সমস্যা দেখা দেয় তাও খেজুর প্রতিরোধ করে, অন্য কথায় বললে, খেজুরের অ্যান্টিএজিং বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
সতর্কতা
তবে অন্য সবকিছুর মতই বেশি পরিমাণে খেজুর খাওয়া হতে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ। ওজন বেশি হলে খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কিডনি রোগীদের জন্য হাই পটাসিয়াম ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের ডায়রিয়ার সমস্যা আছে, তাদের খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া যাদের অ্যালার্জি আছে তাদেরও খুব সীমিত পরিমাণে খেজুর খাওয়া উচিত।
কিউএনবি/অনিমা/০৮ ডিসেম্বর ২০২৩/সন্ধ্যা ৭:৩৯