শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ডিসেম্বরে ভোট চাওয়া অনেকেই এখন নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ ক্যাম্পে যোগ দিলো ‘নতুন মুস্তাফিজ’, কতটা কার্যকর হবে দ্বীপ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: ডা. জাহিদ ভারত ও রাশিয়াকে চীনের অন্ধকারে হারিয়েছি: ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের অটল অবস্থানের নেপথ্যে কী তাহসানের বাবা হওয়ার গুঞ্জন, অবশেষে যা জানা গেল হিজাব বিরোধী আন্দোলনের এক বিক্ষোভকারীকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৬৪ মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত হতে পারে: ড. ইউনূস ‘একেবারে ছোট পরিসরেই সব হয়েছে’ সন্ধ্যায় কি জানাবেন তাশরীফ খান?

শীতে অসুস্থ হলে কী খাবেন

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১১৬ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : শীতের তীব্রতা যত বাড়ে, অসুস্থতাও তত বাড়তে থাকে। এর মধ্যে সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, পানিস্বল্পতা ইত্যাদি। এসব রোগ এমন কোনো বড় ব্যাপার নয়। অনেক সময় কাশি হঠাৎ করেই ভালো হয়ে যায়। তবে কাশির সঙ্গে জ্বর হলে সেটাকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। 

সব সময় কুসুম গরম পানি পান করতে হবে ও গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আরাম বোধ হবে। সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে হলে গরম স্যুপ, আদা বা দারুচিনি সিদ্ধ পানি, রসুন সিদ্ধ পানি, মধু-পুদিনা চা খাওয়া যেতে পারে। আবার আদা-লেবু-মধু চা খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। 

এগুলো আমাদের শরীর শোধনের কাজ করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ও মধুর খনিজ লবণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহকে সুরক্ষা দেয়। এছাড়া নিচের পথ্যগুলো ঠান্ডা কাশির জন্য উপকারী।

* মেথি : এক গ্লাস গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মেথি গুঁড়া দিয়ে গার্গেল করলে গলাব্যথা দূর হবে।

* তুলসীপাতা : তুলসীপাতা সিদ্ধ পানি অথবা প্রতিদিন দুই-তিনটি পাতা চিবিয়ে খেলেও সর্দি কাশিতে উপকার হয়। গলা খুস্খুস্ করলেও তুলসীপাতায় উপকার পাওয়া যায়।

* সেলরি : সর্দি-কাশিতে ভুগলে সেলরি-সেলরি সিদ্ধ পানি বেশ উপকারী।

* রসুন : বেশি শীত অনুভূত হলে বা সর্দি-কাশি উপশম রসুন সিদ্ধ পানি বারবার পান করা যেতে পারে।

এ ছাড়া সর্দি-কাশি সারাতে খেতে হবে কালজিরার ভর্তা, সরিষার ভর্তা, সরিষা শাকের ভর্তা, পেঁয়াজ-মরিচ-সরষের তেলে ভর্তা ইত্যাদি।

ডিহাইড্রেশন

শীতকালে পানি খাওয়া কম হয় বলে ডিহাইড্রেশন হয়ে থাকে। ডিহাইড্রেশন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-খুব তৃষ্ণার্ত হওয়া, গাঁটে ব্যথা, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, পেশীর দুর্বলতা, মাথাঘোরা, মাইগ্রেন, মাথাব্যথা, বদহজম, পায়ে ক্র্যাম্প, দুর্বলতা ইত্যাদি। ডিহাইড্রেশনের ফলে আমাদের মস্তিষ্কে তৈরি হওয়া শক্তির মাত্রা কমতে থাকে। পানি ফুসফুসকে আর্দ্র রেখে শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচল সহজ করে তোলে। 

অ্যাজমার টান উঠলে পানি খেলে আরাম পাওয়া যায়। পানি শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয় এবং লুব্রিকেটের কাজ করে বলে আমাদের নাড়াচাড়া করতে সুবিধা হয়। পানি পান করলে রিডম্যাটিক আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমে যায়। গর্ভাবস্থায় প্রথম ট্রাইমস্টারে যে বমিভাব দেখা যায়, তা মায়ের পানির অভাবের জন্য হয়ে থাকে। মায়ের বুকের দুধ তৈরি হওয়ার জন্যও নিয়মিত পানি পান করা প্রয়োজন।

ডায়রিয়া

শীতের সময় যে ডায়রিয়া হয় তাকে কোল্ড ডায়রিয়া বলা হয়। ডায়রিয়া হলেও পুষ্টিকর খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। ঘরের বা বাজারের তৈরি স্যালাইন বারবার খেতে হবে। স্যালাইনের প্যাকেটের ওপর নিয়মাবলি ভালো করে পড়ে শিশুদের খাওয়াতে হবে। তা না হলে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালেন্স হয়ে শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

সহজপাচ্য আমিষ যেমন-ঝালছাড়া মাছের ঝোল, কচি মাংস, সিদ্ধ ডিম, সরবিহীন দুধ, সুজি, সেমাই, বার্লি দেওয়া যাবে। যদি দুধ একেবারেই সহ্য না হয়, তাহলে দই-ঘোল, ছানা দেওয়া যায়। ডায়রিয়া রোগীদের ডিমের সাদা অংশ ও ঘোল খুবই উপকারী। হজমে ব্যাঘাত ঘটে বলে এ সময় ডাল না দেওয়াই ভালো।

মাছের মধ্যে শিং, মাগুর, পাবদা, শোল, কচি মুরগির মাংস ঝোল করে দেওয়া যায়। এতে আলু, কাঁচা পেঁপে, লাউ, জালি অথবা আঁশছাড়া অন্য যে কোনো সবজি দিলে ভালো হয়। সহজপাচ্য শর্করাযুক্ত খাবার দিতে হবে। যেমন-ফলের রস, পরিজ, সাগু, বিস্কুট, বার্লি, সুজি, নরম ভাত, ভেজানো চিড়া, চিড়ার পানি, পাউরুটি, ইত্যাদি। লাল চায়ের সঙ্গে মুড়ি, ধানের খই, টেস্টি বিস্কুট দেওয়া যাবে। ফলের মধ্যে কলা, কমলা, পাকা পেঁপে, ডাব, সিদ্ধ আপেল, ডালিম দেওয়া যাবে। ডাব ডায়রিয়ায় খুবই আদর্শ। খাবারে মাখন-তেল দিলে ক্ষতি নেই। তবে জমাট চর্বি যেমন-ঘি, ডালডা, মাংসের চর্বি সহজে হজম হয় না বলে না দেওয়াই ভালো।

ঘনঘন পাতলা পায়খানা হওয়ার ফলে শরীর থেকে বেশ পানি বের হয়ে যায়। এর সঙ্গে বমি থাকলে তো অবস্থা আরও মারাত্মক হয়ে থাকে। পানিস্বল্পতার ফলে ত্বক শুকনো বিবর্ণ ও গরম হয়ে যায়। হাত পায়ে খিঁচুনি হয়।

এ সময় এক ঘণ্টা পর পর দিতে হবে লবণাক্ত পানি, আঁশছাড়া ফলের রস, ঘোল, বার্লির শরবত, ডাবের পানি, ক্লিয়ার স্যুপ, চালের গুঁড়ার স্যালাইন, ওরস্যালাইন। এ ছাড়া মধু বা গুড় মেশানো লেবুর শরবত দিলে খনিজ লবণের ঘাটতি থেকে বাঁচা যাবে। সর্বোপরি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে ওষুধ, খাবার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।

লেখক : চিফ নিউট্রিশন অফিসার ও বিভাগীয় প্রধান (অব.), বারডেম। সভাপতি, ডায়াবেটিস নিউট্রিশনিস্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশ, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শ্যামলী ও অ্যাডভান্স হাসপাতাল, ঢাকা

কিউএনবি/অনিমা/০২ ডিসেম্বর ২০২৩/দুপুর ১২:১৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit