বিনোদন ডেস্ক : হুমায়ূন আহমেদ ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্র নির্মণ করবেন। সেখানে ফটোগ্রাফার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মাহফুজকে নির্বাচন করলেন। কিন্তু মাহফুজ সরে দাঁড়ালেন। এরপর চিত্রনায়ক রিয়াজকে ঠিক করলেন। রিয়াজ রাজি হলেন, কিন্তু পরে শিডিউল জটিলতার কারণে ফোন করে জানালেন তিনি কাজটা করতে পারছেন না। হুমায়ূন আহমেদ এটাকে মহাবিপদ সংকেত ১০ নম্বর উল্লেখ করলেন। কারণ তিনি বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। সে সময় এগিয়ে এলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।
হুমায়ুণ আহমেদ তাঁর রচিত আত্মজীবনীমুলক গ্রন্থ কাঠপেন্সিলে এসব কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন এভাবে, ‘চিত্রনায়কদের নায়কসুলভ স্বভাব থেকে সে বহুলাংশে মুক্ত। বিয়ের পর তার স্বভাবে ও আচরণে অন্য ধরনের স্থিরতা এসেছে, আমার আছে জল ছবিতে সাতদিনের নোটিশে তাকে যে রাজি করিয়েছে তার নাম হাসান। হাসান এই দায়িত্ব পালন করে মহানন্দে ইউরোপ বেড়াতে চলে গেল। আমি এবং শাওন খুবই আনন্দ পেলাম। আমরা সাব্বির নামের কঠিন একটি চরিত্রে ডিপেন্ডাবল আর্টিস্ট পেলাম।’
ফেরদৌস তার ভারত-বাংলাদেশের নানা সিনেমার শিডিউল এদিক সেদিক করে সেই ছবিতে কাজ করার জন্য সময় বের করেছেন। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন, ‘এজন্য তাকে বিমানে সিলেট থেকে অন্য শিডিউলে চলে যাচ্ছিল, কাজ করে আবার ফিরে আসছিল।’
লিখতে গিয়ে হুমায়ূন আহমেদ জানান একদিন শুটিংসেটে ভুল করে ফেরদৌসের চেয়ারে বসে পড়েছিলেন এবং আরাম পেয়েছিলেন। এটা ফেরদৌস দেখতে পেয়েছিলেন এবং স্ত্রীকে ফোন করে লন্ডন থেকে একই রকম চেয়ার এনে হুমায়ূন আহমেদকে দেন। বিষয়টিতে আবেগতাড়িত হয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক তার গ্রন্থে লিখেছেন, ‘মনে হলো সে আমার অভিনেতা না, সে আমারই ছেলে। বাবার কষ্ট দেখে দূরদেশ থেকে একটি চেয়ার আনিয়েছে।’
কিউএনবি/অনিমা/২৭ নভেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৪:২২