জালাল আহমদ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : খাঁন বাহাদুর আহসান উল্লাহ গভীরভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন।এ দেশের মানুষের সেবা এবং শিক্ষা বিস্তারে তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের কথা আমরা স্বীকার করি না।আজ ২৫ নভেম্বর (২০২৩) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে খান বাহাদুর আহসান উল্লাহর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আহছানিয়া মিশন , ঢাকার স্বাস্থ্য সেক্টর কর্তৃক আয়োজিত “মানবতার সেবায় হযরত খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ (র:)” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে আন্তর্জাতিক পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ শমশের আলী বলেন, “তুমি যদি সত্যিকারের মুসলমান হও, তাহলে অন্যের জান মাল তোমার কাছে নিরাপদ । এদেশের মুসলমানেরা মসজিদে নামাজ পড়ে, বাসায় নামাজ পড়ে এমনকি নৌকায় যেতে যেতে নামাজ পড়ে”।
তিনি ( খাঁন বাহাদুর আহসান উল্লাহ) গভীরভাবে ধর্মপ্রাণ ছিলেন।ধর্মপ্রাণ মানুষ হলে তিনি কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারে না। তিনি অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক” ।তরুণ সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন,”তরুণ প্রজন্ম সৎ কাজ করতে পারে।বয়স্ক মানুষ নিজেকে সংশোধন করতে পারে না। তরুণ প্রজন্ম নিজেকে সংশোধন করতে পারে।স্রষ্টার পূজা এবং সৃষ্টির পূজা একসাথে করতে পারো না।সবাই তো বেহেশতে যেতে চায়। আল্লাহ পাক খলিফা হিসেবে মানুষ কে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এই দেশে ভালোবাসা দিয়েই মুসলিম সমাজ কায়েম হয়েছে।সেবা দিয়ে মুসলমানেরা মানুষের মন জয় করেছেন।তরুণ সমাজের মধ্যে ভালোবাসা এবং বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে হবে”।অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডক্টর গোলাম রহমান, একুশে পদক বিজয়ী সিনিয়র সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ প্রমুখ।অনুষ্ঠানে খাঁন বাহাদুর আহসান উল্লাহর স্মরণে ১৫ দিন ব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন আয়োজকরা।
কিউএনবি/অনিমা/২৫ নভেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৩:১১