নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম জানান,খানিবাড়ি গোষ্ঠী ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠী একটি গ্রুপে এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠীএকটি গ্রুপ। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও আরেকটি গ্রুপকে দিচ্ছেন ইউপি আরজু মিয়া। এই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন পূর্বে আরজু মেম্বারের গ্রুপের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের ছেলেকে মারধোর করে খানি বাড়ির ছেলেরা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করে আসছিলাম। গতকাল রোববার আবার মারধোর করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে। এই ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হলে সদর মডেল থানার সদস্যরা সেখানে যান। আজ সোমবার সকালে ঘটনাটি থানায় মিমাংসার জন্য শালিস সভা ডাকা হয়। সকালে সভা চলাকালীন শুনলাম দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ঘে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কয়েকটি বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আহতদের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেফতার আতঙ্কে সংঘর্ষে অনেক আহত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া এড়িয়ে যায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. সোহেল আহমেদ জানান, সকালে গোষ্ঠীগত বিরোধে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। সংঘর্ষে যারা জড়িত তদন্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ নভেম্বর ২০২৩,/রাত ৮:১৫