আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় ইসরাইলি বিমানবাহিনীর তীব্র বিমান হামলা ও ব্যাপক অভিযানের মধ্যেই এখনো ইসরাইলের ভেতরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
শনিবার সকালে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হামাস। গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে প্রবেশ করেন। এরপর গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালায় ইসরাইল বাহিনী। হামাস দাবি করে, তারা অনেক ইসরাইলি সেনাকে আটক করেছে।
ইসরাইলের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইসরাইলের দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় এখনো সংঘাত চলছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, হামাসের দখল থেকে বেশির ভাগ এলাকা মুক্ত করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তারা। তবে গাজা উপত্যকা সীমান্তসংলগ্ন এলাকাগুলোয় লড়াই চলছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার সীমান্তবর্তী শহর সেরোতের একটি পুলিশ স্টেশনে হামাসের ১০ সদস্য অবস্থান নিয়েছিলেন। তাদের সরিয়ে দিয়ে এখন সেখানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
হারেৎজ জানিয়েছে, কাফার আজার বাসিন্দারা এখনো ঘরের ভেতরে নিজেদের আবদ্ধ করে রেখেছেন এবং সেনাবাহিনীর সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছেন।
শনিবার হামাসের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা লোহার বেড়া ভেঙে ইসরাইলে প্রবেশ করন। এরপর সেখানে ইসরাইলি সেনাদের বিভিন্ন চেকপোস্টে হামলা চালায় তারা। এছাড়া তারা বেশ কয়েকজন সেনা ও বেসামরিক মানুষকে ধরে নিয়ে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যও রয়েছে।
সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতির তত অবনতি হচ্ছে। হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরাইল।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ অক্টোবর ২০২৩,/রাত ৯:৪২