স্পোর্টস ডেস্ক : মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ১৭২ রানের লক্ষ্য ব্যাট করছে কিউইরা। এ প্রতিবেদন খেলা পর্যন্ত ২২ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৯৫ রান। রান তাড়ায় নেমে প্রথম ৯ ওভারে সাচ্ছন্দ্যে ৪৮ রান তুলে নেয় কিউইরা।
দশম ওভারে গিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন শরিফুল। টাইগার পেসারের করা ওভারের দ্বিতীয় বলটি পুল করেছিলেন ফিন অ্যালেন, সেটি ডিপ-মিডউইকেটে ধরা পড়ে নাসুম আহমেদের হাতে। পরের বলে অভিষিক্ত ডিন ফক্সক্রফটকে বোল্ড করেন শরিফুল। তাতে লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু উইল ইয়াং ও হেনরি নিকোলসের ৪৬ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে টাইগাররা। ইয়াং ৪২ ও নিকোলস ২১ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে শান্তর নেতৃত্বে চার পরিবর্তন নিয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে মরিয়া টাইগাররা এদিন শান্তর পাশাপাশি দলে ফেরায় মুশফিকুর রহিমকেও। এছাড়া এদিন অভিষেক হয় উইকেটকিপার-ব্যাটার জাকির হাসানের। তাতেও ব্যাটিংটা সুবিধার হয়নি। ৩৪.৩ ওভারে মাত্র ১৭১ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। এদিন বুক চিতিয়ে একাই লড়েছেন অধিনায়কত্ব পাওয়া শান্ত। পাঁচ ম্যাচ পর দলে ফিরেও ব্যাটে ছিল না ছন্দপতনের আভাস।
তবে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। অভিষেক রাঙাতে পারেননি জাকির হাসান। দলীয় ৬ রানে ফেরেন জাকির। মিলনের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ১ রান। ৮ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। বোল্টের বলে আঊট হওয়ার আগে করেন ৫ রান। ভালো শুরু করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু দলীয় ৩৫ রানে বাজে শট খেলে বিদায় নেন তিনিও। ১৭ বলে ১৮ রান করা হৃদয়কেও ফেরান মিলনে।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর ৫৩ রানের জুটিতে টাইগারদের ভরসা দেখাচ্ছিলেন এই ম্যাচ দিয়ে দলে ফেরা মুশফিক-শান্ত। কিন্তু ১৮ রান করে মুশফিকও দুর্ভাগ্যজনকভাবে হিট উইকেট আউট হয়ে যান। পঞ্চম উইকেট জুটিতেও শান্ত আরেকটি জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে। ৪৯ রানের এই জুটিতে শতরান পূর্ণ হয় বাংলাদেশের। তার আগে ব্যক্তিগত ১ রানের মাথায় চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এদিন রিয়াদ অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। ভালো শুরুর পরও ২৭ বলে ২১ রান করে মিলনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। বাংলাদেশের রান তখন ১৩৭। এরপর ১৫৬ রানে বোল্টের শিকার হন শেখ মেহেদী (১৩)। এতক্ষণ পর্যন্ত দারুণ ব্যাটিং করছিলেন ওয়ান ডাউনে নামা শান্ত। এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকের দিকে। কিন্তু ম্যাককঞ্চিয়েকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে যান তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন, অবশ্য তাতে লাভ হয়নি। ৮৪ বলে ৭৬ রান করেন শান্ত। তার ইনিংসে ১০টি চারের মার ছিল। শান্ত যখন বিদায় নেন তখন দলের স্কোর ছিল ১৬৮। বাকি তিন উইকেট বাংলাদেশ হারিয়েছে আর ৩ রান যোগ করতেই।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সফলতম বোলার অ্যাডাম মিলনে। ৬.৩ ওভারে ৩৪ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। ৫ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ম্যাককঞ্চিয়ে। ট্রেন্ট বোল্টও ২ উইকেট নিয়েছেন ৩৩ রানের বিনিময়ে। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন লকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩,/রাত ৮:০০