আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েকদিন আগে বাসমতি চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার। এক টন বাসমতি চাল এক হাজার ২০০ মার্কিন ডলারের কমে বিক্রির ক্ষেত্রেই জারি হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। তবে এরচেয়ে বেশি দামে বিক্রির ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ চাপানো হয়নি।
ভারত থেকে যে যে পণ্য রপ্তানি করা হয় সেগুলোর মধ্যে সব থেকে চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের তালিকার শীর্ষেই থাকে বাসমতি চাল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত থেকে ৪.৭৯ বিলিয়ন ডলার অর্থের বাসমতি চাল বিদেশে পাঠানো হয়। মূলত এসব চাল মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছিল ভারত।
তাহলে ঠিক কোন কারণে বাসমতি চাল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো ভারত? জানা গেছে, এল নিনোর সঙ্গে গরম-বৃষ্টির আবহাওয়া মোদি সরকারের উদ্বেগের কারণ। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে আরেকটি কারণ থাকতে পারে। সেটি হলো বাসমতি চালের চুক্তিতে বিশাল পার্থক্য।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি মাসে বাসমতি চালের গড় চুক্তি মূল্য হয়েছে প্রতি মেট্রিক টন ১২১৪ ডলার। তবে প্রতি মেট্রিক টনে ৩৫৯ ডলারের কম হারেও চুক্তি হয়েছে, যা গড় দামের তুলনায় অনেক কম। ফলে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য পণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (এপিডিএ) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে এর অপব্যবহার বন্ধের চেষ্টা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই এবার বৃষ্টিতে ফলন কম হয়েছে বা শস্যের ক্ষতি হয়েছে বহুলাংশে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, সুগন্ধী বাসমতি চালের রপ্তানির ক্ষেত্রে যে যে নিয়ম প্রযোজ্য হয়, সেই নিয়মের আওতায় বাসমতি ছাড়াও অন্য চাল রপ্তানি হচ্ছিল বলে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়। সেই পরিস্থিতিতে বাসমতি চালের রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়।
কিউএনবি/অনিমা/২৯ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ৯:৩৩