শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন দ্বীপ বালিতে ফেরি ডুবে ৫ জনের মৃত্যু, বহু নিখোঁজ বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ, এখনই নিয়ন্ত্রণ জরুরি স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী! চকবাজারে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু দৌলতপুরে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত : আটক-১ মনিরামপুরে ফ্যাসিষ্ট মাদকবিক্রেতা সন্ত্রাসীরা কোন প্রকার ছাড় পাবেনা মনিরামপুরে শিক্ষককের ১৫ দিনব্যাপী আইসিটি প্রশিক্ষনের সমাপনী অনুষ্ঠান পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় চৌগাছা পৌরসভায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি জুমার নামাজ পড়তে না পারলে করণীয় ‘গরুর মাংস খান রণবীর’, ভারতজুড়ে বির্তকে-সমালোচনার ঝড়

দলীয় দাপ্তরিক কাজে অনন্য ও অসাধারণ

শহিদ আহমেদ খান সাবের,সিলেট প্রতিনিধি।
  • Update Time : সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৩৫ Time View

শহিদ আহমেদ খান সাবের,সিলেট প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অধ্যাপক মো: জাকির হোসেন নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কর্তৃক ঘোষিত হয়। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি। যদিও তার কমিটিতে আসা নিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু সে তার দাপ্তরিক কাজের দক্ষতার মাধ্যমে সবকিছুকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। সকল নেতৃবৃন্দ এখন তার কাজের জন্য প্রশংসা করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক যোগ্য ব্যক্তিকেই উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। অত্যন্ত নম্র, ভদ্র সৎ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন মানুষ হিসেবে তিনি নিরলসভাবে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে সবার প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন। নেই তার কোন মোহ, লোভ ও লালসা। নিরহংকারী ও পরোপকারী একজন মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় প্রশ্নে আপোষহীন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মসূচীতে তার অংশগ্রহণ রয়েছে। দলীয় নোটিশ থেকে শুরু করে এমন কোনো দাপ্তরিক কাজ নেই যেখানে তার অংশগ্রহণ নেই। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতি দিনের কাজ তিনি সংরক্ষণ করে রাখেন।

দলের সকল তথ্য সংগ্রহের জন্য বাসায় প্রতিদিন ১৫টি পত্রিকা রাখেন। দলের যেকোনো তথ্য দ্রুত সময়ের মধ্যে নেতৃবৃন্দের কাছে পৌঁছে দেন। ম্যাসেজ দেওয়া, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ মেইনটেইন করা, বিভিন্ন সংস্থার কাছে রিপোর্ট দেওয়া সহ দলীয় কাজের সাথে সমস্ত কাজই করে থাকেন। দলীয় প্রতিটি কর্মসূচীতে মহানগর আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নাম যাতে পত্রিকার নিউজ থেকে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে তার তীক্ষণ নজর রয়েছে। কর্মসূচীতে ঘুরে ঘুরে সকল নেতৃবৃন্দের নাম সংগ্রহ করেন। শুধু নাম সংগ্রহই নয় প্রতিটি প্রোগ্রামের নিউজ তিনি নিজে করেন। মাঝে মাঝে আমরা সাংবাদিক ভাইয়েরাও অবাক হই। আমরা প্রোগ্রাম থেকে পত্রিকা অফিসে যাওয়ার আগেই ইমেইলে নিউজ চলে যায়।

একদিকে প্রোগ্রামে নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি বুঝা, নেতৃবৃন্দের বক্তব্য অনুসরণ করা আবার সেই বক্তব্য লিখে নিউজ তৈরি করে দলের সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের অনুমতি নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পত্রিকায় পাঠানো সত্যিই একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। সবার পক্ষে এভাবে কাজ করা সম্ভব না। সংগঠনের সবাই তাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। কাজের প্রশংসা করেন। এমনকি ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনকে এইসব সুসংগঠিত কাজের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সম্মুখে প্রশংসা করেছেন।

সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনায় তিনি সকল কাজ সম্পন্ন করেন। জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরানও এই সব কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করে থাকেন। তিনি প্রতিটি কাজ অবলোকন করেন। দুজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সেল খুবই চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় দপ্তর সেল অনেক ভালো অবস্থানে আছে। দপ্তর ও উপ-দপ্তর সম্পাদক দুজনের মধ্যে অসাধারণ মিল রয়েছে। দুজনেই একে অন্যকে সহযোগিতা করেন। তাছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারওয়ার সবুজও দাপ্তরিক কাজে সহযোগিতা করেন।

সকল নেতৃবৃন্দই তাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেন। তবে প্রতিটি কাজই উপ-দপ্তর সম্পাদক দলীয় পরামর্শ নিয়ে তৈরি করার চেষ্টা করে থাকেন। ক্লান্তিহীনভাবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। দাপ্তরিক কাজে তিনি অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিচ্ছেন। তার সাথে কথা হলে, তিনি বলেন, দলীয় প্রতিটি নির্দেশনা পালনে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দল তাকে যে সম্মান দিয়েছেন সেই সম্মান ধরে রাখতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নর সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের ভিশন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কাজ করে যাবেন। তিনি আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় অভিভাবক সংগঠনের ক্ষুদ্র কর্মী হতে পেরে অত্যন্ত খুশি।

তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নিকট অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। তাঁর জন্যই রাজনৈতিক পরিমন্ডলে এতটুকু পর্যায়ে তিনি এসেছেন। বিভিন্ন কাজে সহযোগিতার জন্য তিনি তার কাছের বন্ধু প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী লিংকনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি তাদের সম্মান ও বিশ্বাসের জায়গা অক্ষুন্ন রেখে এগিয়ে যেতে চান। সংগঠনের স্বার্থে তার মতো রাজনৈতিক কর্মীর খুবই প্রয়োজন। তিনি সংগঠনের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। তার মতো একজন মেধাবী, কর্মঠ ও পরিশ্রমী কর্মীকে মহানগর আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত করার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো: জাকির হোসেনকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

রাজনীতির বাইরে বহুগুণে গুণান্বিত এই মানুষটি শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত। তিনি একাধারে একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী, সাংবাদিকতা পেশায় রয়েছে অভিজ্ঞতা, লেখক, কলামিস্ট, গীতিকার, মানবাধিকারকর্মী ও উপস্থাপক। একুশে বইমেলায় তার তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। একটি বই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে নিয়ে “শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর শতবাণী”। আর দুটি বই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-কে নিয়ে “বঙ্গবন্ধুর মেয়ে তুমি জননেত্রী শেখ হাসিনা” ও “শেখ হাসিনার উক্তি, বাঙালির শক্তি”। তিনি সহ দুটি বইয়ের যৌথভাবে সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক মো: জাকির ও প্রভাষক রনদ্বীপ চৌধুরী লিংকন। আরেকটি বই তার নিজের লেখা। আরও দুটি বই আগামী একুশে বই মেলায় প্রকাশের অপেক্ষায়। বই ছাড়াও তার নিজের লেখা দুটি গানও প্রকাশিত হয়েছে। একটি গান গেয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সমরজিৎ রায়।

আরেকটি গান ফয়সাল আহমেদের সুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গেয়েছেন কলকাতার সঙ্গীত শিল্পী সুজাতা ভৌমিক। তাছাড়া রয়েছে তার কত শত পত্রিকায় প্রকাশিত কলাম। রাজনীতি থেকে সংস্কৃতি মোটামুটি সব অঙ্গনে তার পদচারণা রয়েছে। অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, বিনয়ী, সৎ এই মানুষটি দেখলে সবাই স্নেহ করেন। তিনিও মানুষকে অনেক শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন। কারো সাথে তার বৈরিতা নেই। বন্ধু মহল থেকে শুরু করে রাজনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষা সকল জায়গায় তিনি সবার পছন্দের একজন মানুষ। ইতিমধ্যে দলীয় দাপ্তরিক কাজে উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে তিনি অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। সুষ্ঠু রাজনীতির স্বার্থে তার মতো নিবেদিত কর্মীদের প্রয়োজন। রাজনীতিতে তিনি অনেক দূর এগিয়ে যাবেন এবং সিলেটবাসীর জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসবেন সেই প্রত্যাশা রইল।
সাংবাদিক ও কলামিস্ট, সিলেট।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৮ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ১০:৫৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit