আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে বহন করা বিমানটি রাশিয়ার কুশিওনকেনা গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সাত যাত্রী ও তিন ক্রু ছিলেন।
রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ওই সাত যাত্রীকে শনাক্ত করেছে। তারা হলেন— ইয়েভজেনি প্রিগোজিন, তার প্রধান সহচর দিমিত্রি ইউতকিন, সের্গেই প্রপুস্টিন, ইয়েভজেনি মাকারান, আলেকসান্দার ততমিন, ভ্যালেরি চেকালভ এবং নিকোলাই মাতুসিয়েভ।
ক্রু সদস্যরা হলেন ক্যাপ্টেন আলেক্সি লেভশিন, সহপাইলট রুস্তাম কারিমভ এবং ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ক্রিস্তিনা রাসপোপোভা।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, মস্কোর প্রায় ৬০ মাইল উত্তরে বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয়, তখন এটি রাশিয়ার রাজধানী থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার পথে ছিল।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বল্পস্থায়ী ওই বিদ্রোহের পর থেকে প্রিগোজিন প্রচার-প্রচারণা এড়িয়ে চলছিলেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক নেতৃবৃন্দের গ্রহণ করা কৌশলে তিনি বিরক্ত ছিলেন, এই বিরক্তিই তাকে বিদ্রোহের পথে নিয়ে গিয়েছিল।
বিদ্রোহ শেষ করতে করা চুক্তি অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয় এবং তিনি বেলারুশে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি তাই করেছিলেন বলে ধারণা পাওয়া গেছে, যদিও সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য এবং তার নিজের শর্ত অনুযায়ী।
জুলাইয়ের মাঝামাঝি টেলিগ্রাম চ্যানেলে আসা এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিগোজিন তার যোদ্ধাদের বেলারুশে স্বাগত জানাচ্ছেন। কিন্তু ওই মাসেরই শেষ দিকে, তাকে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে রাশিয়া-আফ্রিকা সম্মেলন চলাকালে দেখা যায়।
বিদ্রোহের পর থেকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ করা গত সপ্তাহের এক ভিডিওতে তাকে দেখা যায়, তাতে তিনি আফ্রিকায় আছেন বলে ধারণা দেন। তবে ভিডিওটি কোথায় গ্রহণ করা হয়েছে বিবিসি তা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।
তিনি মারা গেছেন, গ্রে জোন এমনটি জানানোর পর রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তিভিয়ের অঞ্চলে বিধ্বস্ত একটি বিমানের যাত্রী তালিকা প্রকাশ করে। এ তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা ওই বিমানে ছিলেন বলে নিশ্চিত করে তারা। এ তালিকায় প্রিগোজিনের নামও আছে।
কিউএনবি/অনিমা/২৪ অগাস্ট ২০২৩,/দুপুর ২:১৫