এম এ রহিম চৌগাছা ( যশোর) : যশোরের চৌগাছা ছারা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক তসলিমুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ২০ আগষ্ট কয়েকজন শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ করে। এঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল ২২ আগষ্ট তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন কমিটি। এতে বলা হয়েছে ওই শিক্ষক প্রাথমিকভাবে দোষি।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক বলছেন বিদ্যালয়ের গ্রুপিংয়ের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। তাকে ফাসানো হয়েছে। জানাযায়, ২০ আগষ্ট রোববার সকালে প্রত্যাহিক সমাবেশের সময় কিছু শিক্ষার্থী শ্রেণি কক্ষের মধ্যে অবস্থা করছিল। এসময়। বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক তসলিমুর রহমান সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য শ্রেণিতে অবস্থানকারি ছাত্রীদের মারপিট করেন।
বিদ্যালয় ছুটির পর বিকাল চারটার দিকে ৬ষ্ট শ্রেণির ওই ছাত্রীরা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি, কয়েকজন শিক্ষক এবং অভিভাকদের সাথে নিয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করে।
লিখিত অভিযোগ পত্রে বলেন, বিদ্যালয়ের সমাবেশে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) তসলিমুর রহমান আমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শ্রেণি কক্ষে ঢুকে আমাদের ৭ শিক্ষার্থীর চড় থাপ্পড় মেরে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এসময় স্কুল ড্রেস ছিড়ে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমাদের অপরাধ আমরা সমাবেশে অংশ গ্রহণ করিনি।
ঘটনার পরের দিন বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা শিক্ষক তসলিমুর রহমানের অপসানের দাবীতে শহরে মিছিল করে। অভিযুক্ত শিক্ষক তসলিমুর রহমান, ‘আমি কোনো ছাত্রীর গায়ে চড় থাপ্পড় মারিনি। আমি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি বলেন বিদ্যালয়ে বিবাদমান দুটি গ্রুপ রয়েছে। আমি গ্রুপিংয়ের ফাঁদে পড়ে গিয়েছি’।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, তদন্ত কমিটি তদন্ত করেছেন। কি রিপোর্ট দিয়েছেন আমার জনা নেই। এটা তদন্ত কমিটির বিষয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, রিপোর্ট পেয়েছি খুব সিগরিই বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/২২ অগাস্ট ২০২৩,/রাত ৯:৫০