ডেস্কনিউজঃ পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে এবার যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ইউক্রেন। স্থানীয় সময় রোববার ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ড সফরে যান ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই সময় মিত্র কিয়েভকে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান দেওয়ার কথা জানায় ন্যাটোভুক্ত এই দুই দেশ।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসন বলেন, আমরা ইউক্রেনকে ১৯টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিচ্ছি। আনন্দের সাথে জানাচ্ছি, ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডস প্রথম দেশ, যারা কিয়েভকে যুদ্ধবিমান দেওয়ার ক্ষেত্রে স্পষ্ট সহযোগিতা করল। আশা করছি, এটি দেখে অন্যান্য মিত্ররা দেশগুলেও এগিয়ে আসবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, যুদ্ধবিমান দেওয়ায় ডেনমার্ক এবং নেদারল্যান্ডসকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান জেলনস্কি। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আকাশ পথে রুশ আগ্রাসন রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, এফ-১৬ কিয়েভকে তাৎক্ষণিক বিজয় এনে দেবে না, তবে এটি আমাদের খেলার মাঠে থাকতে সহায়তা করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার বক্তব্যে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে, গেল শুক্রবার ইউক্রেনকে এই যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর ফলে, যেসব দেশ ওয়াশিংটনের কাছ থেকে এফ-১৬ কিনেছে, তারা ইচ্ছপ করলেই সেগুলো কিয়েভকে প্রদান করতে পারবে।
জানা যায়, অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান চালানোর কৌশল রপ্ত করতে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর অন্তত ৭০ জন পালটকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চলতি মাসেই শুরু করা হবে সেই প্রশিক্ষণ।
রয়টার্স জানায়, নেদারল্যান্ডের কাছে ৪২টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর সবগুলো ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে, এগুলোর মধ্যে অন্তত ৬টি যুদ্ধবিমান আগামী বছরের শুরুতে কিয়েভে পাঠানো হবে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ গেল শনিবার বলেছেন, পাইলট এবং প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণে অন্তত ৬ মাস সময় প্রয়োজন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়া নিয়ে পশ্চিমাদের ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত হচ্ছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, এই যুদ্ধবিমান পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। এটি দেওয়ার মাধ্যমে পূর্ব ইউরোপে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে পশ্চিমারা।
কিউএনবি/নাহিদা/২১.০৮.২০২৩/ রাত ১১.০৫