কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে মাদকাসক্ত ফুটবল খেলোয়ারের মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। সে কুড়িগ্রাম মোহামেডান ফুটবল টিমের সদস্য। ময়না তদন্তের তার মরদেহ করে কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার একতাপাড়ার নামাচর গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর পুত্র মো. লিংকন (২২)। সে দশ ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয়। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে বেকারত্বের জীবন যাপন করছিলেন। সারাদিন খেলাধুলা নিয়েই ব্যস্ত থাকতো। প্রত্যক্ষদর্শী মো. আমিনুর মিয়া বলেন, সকালে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ লিংকনের পানিতে পড়ে থাকা লাশ চোখে পড়ে। পরে চিল্লাচিল্লি করে আশপাশের সবাইকে ডাকি। কিছুক্ষণ পর কুড়িগ্রাম থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ পানি থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মৃতের মা তপু বেগম কান্না জড়িক কন্ঠে বলেন, আমার ছেলে রাত ৯টার দিকে বললো, মা আমি একটু বাইরে থেকে আসতেছি, এই কথা বলে সে আর রাতে বাড়িতে ফেরে নাই। সকাল লোকজন খবর দিলো লিংকন পানিতে পড়ে আছে। একথা বলে হাউমাউ করে কান্না করতে থাকেন তপু বেগম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লিংকনের একাধিক সাবেক সহকর্মী বলেন, লিংকন অনেক ভালো বন্ধু ছিল। কিন্তু ইদানিং কিছু মাদকাসক্ত ছেলের সাথে সঙ্গ দিয়ে সে নষ্ট হয়েছে। নিয়মিত সব ভয়ঙ্কর মাদক সেবন করতো। সহকর্মী সুজন বলেন, ‘লিংকন একজন ভালো খেলোয়ার ছিল। জেলাজুড়ে তার একটা সুনাম ছিল। সে জেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত ফুটবল খেলোয়ার। অনেক পুরস্কার সে এনেছে। মাদক তাররজীবন শেষ করে দিলো। আমাদের এলাকা মাদকে ভরপুর হয়ে গেছে। প্রশাসনের কাছে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান দাবি করছি, যাতে আন কেউ মাদক সেবনে মারা না যায়।’এ ব্যাপ্যারে কথা হলে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হেসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মৃত যুবকের মরদেহ ও কিছু সলিশন (আটা) জাতীয় মাদক ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে সে অধিক মাদক গ্রহণ করায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। লাশ ময়না তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’