আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শুক্রবার (১১ আগস্ট) ভারতীয় দণ্ডবিধিতে পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু নতুন বিল উত্থাপন করা হয়। দেশের নারীসমাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম এসব আইনের বিল উত্থাপন করা হয়।
এদিন ভারতীয় অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি’–র নাম পরিবর্তন করে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ রাখার প্রস্তাবসহ একাধিক নতুন আইন আনার কথা জানান। নতুন বিলে নারীদের যৌন নিগ্রহ রুখতে বেশ কিছু নতুন ধারা সংযোজিত হয়েছে। তিনটি বিলই আরও বিশদ পর্যালোচনার জন্য সংসদের স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
অমিত শাহ বিল পেশের সময় বলেন, নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ ও সেই কারণে তাদের যেসব সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, সেগুলো কমানোর লক্ষ্যে নতুন এই বিল আনা হয়েছে। বিয়ে, চাকরি, পদোন্নতি বা অন্যান্য সুবিধার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে রাজি করানো গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা ছিল না। সরকার এখন যে নতুন আইন আনতে চাইছে, তাতে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনে ‘প্রতারণার’ মাধ্যমে বিয়ে, চাকরি, পদোন্নতির পাশাপাশি পরিচয় গোপন করে বিয়েও অন্তর্ভুক্ত হবে। সর্বোচ্চ সাজা হবে ১০ বছরের কারাবাস।
নতুন আইনে দলবদ্ধ ধর্ষণের সাজা কঠোর করা হয়েছে। দলবদ্ধ ধর্ষণ প্রমাণিত হলে অপরাধীদের ২০ বছর বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। ধর্ষণের শিকার নারীর বয়স ১৮ বছরের কম হলে অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। একই সুপারিশ করা হয়েছে গণপিটুনিতে কেউ নিহত হলে অপরাধীদের সাজার ক্ষেত্রেও।