বাদল আহাম্মদ খান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপারের ঘটনায় আরো দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। শুকবার ভোরে ও দুপুরে তিতাস নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারের মতিন ভূইয়ার পরিচয় জানা গেছে। নিহত আরেকজন নোয়াখালীর দাগনভূঞা এলাকার বলে জানা গেলেও নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ দুজনই ট্রেন দেখে লাফিয়ে পড়েন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপেস ট্রেন দেখে লাফিয়ে পড়ে একজন ও ধাক্কায় আরো একজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদীর শুক্কুর আলী (৬০) লাফিয়ে পড়ে মারা যান। মোজাম্মেল নামে নরসিংদীর আরেক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান। রেলওয়ে পুলিশ জানায়, রাতে দায়িত্বরত পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কয়েকশ’ মাজার ভক্ত রেললাইন ধরে খড়মপুর মাজার শরীফের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস দেখে শুকুর আলী সেতু থেকে লাফিয়ে পড়েন। আরেকজন সেতু পার হওয়ার সময় কাটা পড়ে মারা যান। তখন আরো একাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাজারে আসা লোকজন পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে রেলসেতু পারাপার হচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী পারাবত ট্রেন আসার সময় হলে দুই পাশে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেয়। এ সময় সবাই রেললাইন থেকে নেমে পড়লেও ওই দুই ব্যক্তি ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হতে চান। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া খরমপুর মাজার শরীফে বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে। ১৪ আগস্ট আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওরস শেষ হবে। ওরসে লাখো লোকের সমাগম হয়।
কিউএনবি/আয়শা/১১ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৪:৪০