খোরশেদ আলম বাবুল,শরীয়তপুর প্রতিনিধি : মুক্তিপণ না পেয়ে হৃদয় খান নিবিড় নামের এক পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে হত্যার পর বাড়ির পাশের একটি ইটাভাটার পিছনে মাটিচাপা দেয় অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের দেয়া তথ্যনুযায়ী আজ (১ আগস্ট) ভোর ৬টার সময় নিবিড়ের মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পালং মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত ৪ অপহরণকারীদের আটক করেছে পুলিশ। নিবিড়ের লাশ উদ্ধারের পর পরিবার, শিক্ষক -শিক্ষার্থী ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।নিহত হৃদয় খান নিবিড় শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের খিলগাঁও গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মনির হোসেন খানের ছেলে। সে শরীয়তপুর জেলা শহরের শিশু কানন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পালং মডেল থানা ও নিহতের চাচা জাকির খান জানান, গতকাল সোমবার নিবিড় প্রতিদিনের ন্যায় স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে ক্রামবোর্ড খেলার জন্য বাড়ির পাশের দোকানে যায়। এরপর তাকে আর খুঁজে পায়নি তার পরিবার। সন্ধ্যার দিকে নিবিড়ের মা নিপা আক্তারের মোবাইল ফোনে কল করে অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোনটি বন্ধ করে দেয় তারা। পরে রাতেই নিবিড়ের পরিবার থানায় অভিযোগ করে। ওই রাতেই পালং মডেল থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের মধ্যে নিবিড়দের বাড়ীর ভারাটিয়া সিয়ামকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে। সিয়ামের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অপহরণ ও খুনের সাথে জড়িত সাকিল গাজী (১৪) তুহিন (১৩) ও শাওন (১৮)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যনুযাী সোমবার ভোর ৬টার দিকে নিবিড়ের মাটিচাপা দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত নিবিড়ের দাদা মোমিন খান বলেন, অপহরণকারীদের মধ্যে সিয়ামের পরিবার দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বাড়ীতে ভাড়া থাকে। আমাদের সাথে কোন বিরোধও ছিলনা। অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। তারা কেন এরকম নির্মম হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটালো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি আমার নাতির হত্যাকারীদের দৃস্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি।এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা অপহরণ ও হত্যার কথা শিকার করেছে। এ ব্যাপারে মামলা মামলা হয়েছে। ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/০১ অগাস্ট ২০২৩,/বিকাল ৩:২৮