স্পোর্টস ডেস্ক : র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান ৪২তম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তাকে নিয়ে ছিল না কোনো শূরগোল। ফেভারিটের তকমা গায়ে মেখেও আসেননি তিনি। চেক প্রজাতন্ত্র থেকে বাছাইপর্ব উৎরে তবেই নাম লেখাতে হয়েছিল উইম্বলডনের মতো গ্র্যান্ড স্লামে। কিন্তু কে জানত তখন ২৪ বছর বয়সী মার্কেতা ভনদ্রুসোভা নামের এই মেয়েটাই এবার গড়ে ফেলবে ইতিহাস। সেটাও আবার নিজের বিয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির আগের সকালে।
হ্যা! উইম্বলডনের নতুন রানী মার্কেতা ভনদ্রুসোভা জিতে গিয়ে ইতিহাসই গড়েছেন। এই চেক টেনিস তারকা টুর্নামেন্টের প্রথম কোনো অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জিতলেন। নিজের ক্যারিয়ারেরও প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম এটি। অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা নবম খেলোয়াড় ভনদ্রুসোভা। আর চেক প্রজাতন্ত্রের তৃতীয় নারী খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জিতলেন ভনদ্রুসোভা।
এমন ইতিহাস গড়ে দারুণ ফুরফুরে মেজাজেই থাকার কথা তার। তবে তাতে বাড়তি মাত্রা হিসেবে যোগ হচ্ছে আরও একটি বিষয়। কারণ আগামীকাল তার প্রথম বিবাহবার্ষিকী। তার আগে আজ শনিবার জিতলেন ইতিহাস এক ট্রফি। নিজের বিশেষ এই দিনটা তাই এবার অন্যরকম আমেজেই কাটবে।
শিরোপা জেতার পর তিনি নিজেও বলেছেন এটি আশ্চর্যজনক। জয়ের পর ভনদ্রুসোভা বলেন, ‘গেল বছর এই সময়ে আমি কঠিন সময় পাড় করি। আর এখন আমি উইম্বলডন ট্রফি ধরে আছি। বিশ্বাস করতে পারছি না। আগামীকাল আমার প্রথম বিবাহ বার্ষিকি, তার আগে শিরোপা জয় দারুণ ব্যপার।’
ভনদ্রুসোভার আগে চেক প্রজাতন্ত্রের জানা নোভোতনা ও পেত্রা কোভিতোভা জেতেন উইম্বলডন। তবে এখনও তিনি নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। আর তাই তো সরল স্বীকারোক্তি তার, ‘আমি জানি না আমি কিভাবে এই ফাইনালটা জিতেছি। এইটুকু বলতে পারি টেনিস ক্রেজি।’
জয়ের পর তার বিয়ার পানের ইচ্ছে জেগেছে জানিয়ে বলেন, ‘গত কয়েকটা সপ্তাহ খুব ক্লানিতে পার করেছি। তবে পরিশ্রম শেষে সফলতার দেখা পেয়েছি। এখন আমার বিয়ার পান করতে খুব ইচ্ছে করছে।’
অবিশ্বাস্য এক শিরোপা জেতা ভনদ্রুসোভার ট্যাটুর প্রতি আছে বিশেষ দুর্বলতা। তার শরীরে আঁকা আছে অসংখ্য ট্যাটু। সেগুলো একেকটির পেছনে আছে আলাদা সব গল্প। জীবনের বিশেষ মুহূর্তগুলো তিনি ফুটিয়ে তুলেন ট্যাটুর মধ্যে। আর উইম্বলডনের ইতিহাস গড়া জয়টা যেহেতু তার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত, এবার সেটাও তার শরীরের কোনো এক অংশে ট্যাটু হিসেবে স্থান পাবে। শুধু নিজেই আঁকবেন, কোচ জ্যান মের্টলকেও আঁকাবেন তিনি।
ম্যাচ জয়ের পর তিনি বলেছেন, ‘আমি কোচের সঙ্গে বাজি ধরে রেখেছিলাম। যদি আমি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতি, তবে তিনিও ট্যাটু আঁকবেন বলে আমায় কথা দিয়েছিলেন। আমি মনে করি আগামীকালই আমরা সেটা স্মরণীয় করে ফেলব ট্যাটুর মাধ্যমে।
তৃতীয়বারের মতো গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল হারলেন জাবুর। ফাইনাল হারের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন জাবুর। তিনি বলেন, ‘এটি কঠিন এক দিন আমার জন্য। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কষ্টের হার এটি। মার্কেতা অভিনন্দন এমন স্মরণীয় জয়ের জন্য। তবে আমি হাল ছাড়ছি না। আরও শক্তিশালি হয়ে এই মঞ্চে ফিরে আসব।
কিউএনবি/অনিমা/১৫ জুলাই ২০২৩,/রাত ১১:১৬