ডেস্ক নিউজ : গত ১ জুলাই প্রথম দফা বিস্ফোরণের এ তদন্ত প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) পেশ করা হয়েছে। তবে জাহাজটির ফিটনেস ঠিক ছিল বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে। তিন সদস্যের এ কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ্য করা হয়েছে, তার মধ্যে গ্যাস থেকে ঘটতে পারে বলে কয়েকজন বিশেষজ্ঞের মতামতে উঠে এসেছে। তাছাড়া দগ্ধ শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের মতামত নেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া জাহাজটির ফিটনেসসহ কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেছে বলেও জানান এডিসি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের অফিসে তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, জাহাজের ইঞ্জিন রুমে হয়তো গ্যাস জমে ছিল। জেনারেটর চালু করার সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও আরও কয়েকটি কারণ থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, এর বেশি কিছু এখন বলা যাবে না। আজ বিকেলে ৪ কর্ম দিবস শেষ বিভিন্ন দফতরে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন জেলা প্রশাসক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলী জানান, জাহাজে থাকা তেল মিশ্রিত পানি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জাহাজটি যাতে ডুবে না যায় এজন্য ড্রেজার দিয়ে পেছনের অংশ সেচ দেয়া হচ্ছে। তবে তেলের চেম্বারগুলোর ওপরের অংশ ফাটা থাকলেও নিচের অংশ অক্ষত রয়েছে। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফিরোজ কুতুবী জানান, ট্যাঙ্কারটিতে থাকা অবশিষ্ট তেল অপসারণে ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা নিরীক্ষা ও নির্দেশনা ছাড়া তা এখনই অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ট্যাঙ্কারটিতে পানি উঠে যাতে ডুবে না যাতে পারে সে ব্যাপারে তৎপরতা অব্যাহত আছে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, কয়েকটি জাহাজে তেল অপসারণ করা হয়েছে, তবে ঠিক কি পরিমাণ তেল এখনও আছে তা বলা যাচ্ছে না। ডিলেজ প্রায় সবই উদ্ধার হলেও মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার লিটার পেট্রোল সেভ করা গেছে, বলেন তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/০৬ জুলাই ২০২৩,/রাত ৮:১২