ডেস্ক নিউজ : শনিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি আমিনা জে. মোহাম্মদের সঙ্গে একটি সেমিনারে অংশ নিয়ে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিরোধী দল নালিশ-টালিশ করে। সে কারণে দেশের জনগণের কাছে তাদের আস্থা নেই। জনগণের প্রতি বিশ্বাস নেই। তাই তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করেন। এক সময় ব্রিটিশদের কাছে আমাদের দেশ ২০০ বছর পরাধীন ছিল। এ রকম ষড়যন্ত্রকারী সব সময় ছিল, এখনও আছে। তবে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
মোমেন বলেন, আমি জনগণকে আহ্বান জানাই, যারা দেশের ধ্বংস চায়, আপনারা তাদের বর্জন করুন। এ দেশের উন্নতি হলে দেশের যে-যেই মতের বা দলের হোক না কেন; তারও উন্নতি হবে। সুতরাং সবাই একসঙ্গে দেশের যাতে অনিষ্ট না হয়, বিদেশ থেকে ডেকে এনে যেন দেশের অনিষ্ট না করা হয়, সেই কাজটিই করেন।
‘তাহলে আপনাদের মঙ্গল, দেশের ও জনগণের মঙ্গল। আর আমরা জনগণের অংশ। জনগণ যতদিন আমাদের চাইবে, আমরা ততদিন তাদের সেবা করে যাবো। জনগণ যদি না চায়, আমরা বাড়িতে বসে থাকব।’মন্ত্রী বলেন, আশা করি আগামী দিনে আমাদের যত দলমত আছে, তারা দেশটাকে ধ্বংস করবেন না। আর নালিশ-টালিশ করে খুব লাভ হবে না।
তিনি বলেন, আমরা তার (আমিনা) সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের মুখে থাকে। উন্নয়ন বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণ বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের। ‘দারিদ্র্য বিমোচনও আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের দল আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ব,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
এ সময় আব্দুল মোমেন আরও বলেন, দুঃখের বিষয়, আমাদের অনেক উন্নয়ন সহযোগী রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমি আজ তাকে (আমিনা) সেটি বলেছি, আপনাদের যত উন্নয়ন সংস্থা, তাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে মনোযোগ দেয়া উচিত, রাজনীতিতে নয়। (বাংলাদেশের) নির্বাচন যখন হবে, তখন হবে। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। সেটি নিয়ে আর কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই।
কিউএনবি/আয়শা/০১ জুলাই ২০২৩,/রাত ৯:৪৮