ডেস্ক নিউজ : এদিকে বৈরী এই আবহাওয়ার কারণে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ভারতের ছত্তিশগড় এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে সুষ্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ভারতের উত্তর-পূর্ব মধ্য প্রদেশ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এদিকে মৌসুমী বায়ুর অক্ষ হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, সুষ্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
সক্রিয় এই মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারিপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর গুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালীতে ৭৪ মিলিমিটার। আর ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫ মিলিমিটার। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সৈয়দপুরে ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিকে বলা হয় মাঝারি ধরন। ২৩ থেকে ৪২ মিলিমিটারকে ধরা হয় মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হিসেবে। ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার ভারি বৃষ্টি। আর ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিকে অতিভারি হিসেবে গণ্য হয়।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ জুন ২০২৩,/বিকাল ৩:৪৮