স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ‘অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপন’ এর বাড়িতে এক সন্তানের জননী অনশন করছে। দশ বছর আগে তাদের এক মন্দিরে বিয়ে হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী মহিলা। এদিকে বিয়ের ব্যাপারে টি অস্বিকার করে ছাত্রলীগ নেতা পাপন। এরপর একটা সময় লোকচক্ষুর আড়ালে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর হাতে আটক হয় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি পাপন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর থেকে ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সর্বঙ্গ পাপনের বাড়িতে অনশন করছেন ওই নারী। অভিজিৎ সর্বঙ্গ পাপন উপজেলার পৌরশহরের ছোটরাউতা সাহাপাড়া এলাকার দেবরঞ্জন সর্বঙ্গের ছেলে। তিনি ২০২২ সালের ২৯ জুলাই থেকে ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, পাপনের সঙ্গে ২০১৩ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। পরে ২০১৪ পঞ্চগড়ের বোদেশ্বরী মন্দিরে বিয়ে করি আমরা। এরপর ডোমার, নীলফামারীসহ বিভিন্ন স্থানে বাসাভাড়া করে সংসার করি। দীর্ঘ ৯ বছরের সংসারে পেটে বাচ্চা এলেও তা জোর করে নষ্ট করতে বাধ্য করেন পাপন। বারবার পারিবারিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বললেও নানা অজুহাত দেখিয়ে টালবাহানা করতেন তিনি। এরপর গত কয়েক মাস ধরে কোনো খোঁজ না নেওয়ায় বাড়িতে অবস্থান করছি।
তিনি বলেন, গত একমাস থেকে পাপন আমার সঙ্গে দেখাও করে না, খোঁজ রাখে না। এমনকি আমার মোবাইল ফোনও রিসিভ করে না। সে অনেক ক্ষমতাবান। এখন সে আমাকে স্ত্রী বলে স্বীকার করছে না। এদিকে বাড়িতে অনশনের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে বাড়ির পিছন দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ সভাপতি পাপন। পরে পুলিশ তাকে নিজ হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিজিৎ সর্বঙ্গ পাপন বলেন, ওই মেয়ের তিন স্বামী। সে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে ব্লাকমেইল করে টাকা খায়। আমার কাছে প্রতারণা করে টাকা চায়। তার একটা ছেলেও আছে। আমি একটা অবিবাহিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মণ ছেলে। আমার সম্পর্কে এলাকায় সবাই ভালো জানে। সে পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসাতে এই কাজ করছে।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে,পাপন অসুস্থ অনুভব করায় আমাদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিউএনবি/আয়শা/০৩ জুন ২০২৩,/বিকাল ৫:১৮