ডেস্ক নিউজ : সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলার মাঠে মাঠে ভুট্টা চাষের সমারোহ। আগে যেখানে ধান, গম, তামাক চাষ হতো, এখন সেখানে চাষিরা ভুট্টার চাষ করছেন। এ বছর ভুট্টা চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভজনক হওয়ায় চাষিরা ঝুঁকে পড়েছেন ভুট্টা চাষে। দাম ভালো পেলে বেশি লাভের পাশাপাশি ধানের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা স্থানীয় কৃষকদের।
জেলার মাঠে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ভুট্টা গাছে ৩ থেকে ৪টি করে মোচা হয়েছে, যা দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। তবে ফসল উত্তোলনের আগে দাম নির্ধারণের দাবি তাদের। কৃষকরা জানান, গত বছরের মতো দাম পেলেও ভুট্টায় তাদের অনেক লাভ হবে, যা দিয়ে আমন, বোরো ধানের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা। কার্তিক থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত ছয় মাসের ফসল ভুট্টা। একই সময় ধান চাষ করে ভুট্টার সমান লাভ পাওয়া যায় না। তাই অনেক চাষিই এখন ভুট্টা চাষ করছেন।
তারা জানান, বিঘাপ্রতি ভুট্টা চাষে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এবার বিঘাপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মণ ফলন পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন তারা। গত বছর প্রতিমণ ভুট্টা ১০০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত বছরের মতো দাম পেলেও কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠবে। মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের ভুট্টা চাষি আবেদ আলী সময় সংবাদকে বলেন, এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে। ভালো দাম পেলে ধানের লোকসান পোষাতে পারব। বিঘাপ্রতি ভুট্টা চাষে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ভালো লাভ হয়।
আমঝুপি গ্রামের ইউনুস আলী বলেন, ‘এবার আমি চার বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। আমাদের মাঠজুড়ে শুধু ভুট্টা আর ভুট্টা। এবার ফলন খুবই ভালো হয়েছে। বাজারে যদি দাম ভালো থাকে, তাহলে গতবারের ধানের লস এবার পুষিয়ে নিতে পারব।’মেহেরপুরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, এ বছর মেহেরপুরে প্রচুর পরিমাণে ভুট্টার চাষ হয়েছে। কৃষক যাতে ভালোভাবে ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারে, সে জন্য কৃষি বিভাগ সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সামসুল আলম জানান, মেহেরপুরে এ বছর ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর বেশি। চাষিদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেয়া পরামর্শের ফলে এ ফলন এসেছে বলে মনে করেন তিনি। হেক্টরপ্রতি ৯ মেট্রিক টন ফলন হবে বলেও আশাবাদব্যক্ত করেছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।
কিউএনবি/আয়শা/১৭ মার্চ ২০২৩,/দুপুর ১:৪৪