মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

চৌগাছায় আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি সরকারি দামের চাইতে বাজারে দাম বেশী

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩
  • ৯৪ Time View

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছায় আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৮০ ভাগ অর্জিত হলেও ধান সংগ্রহে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে নানা সমস্যার পাশাপাশি ধানের সরকারি ক্রয় মূল্য থেকে খোলাবাজার মূল্য বেশি হওয়ায় গুদামে ধান দেননি কৃষক।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়,গেল আমন মৌসুমে উপজেলা খাদ্য গুদামে কেজি প্রতি ২৮ টাকা দরে ৬৫২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধাণ রা হয়। এ ধান সংগ্রহ অভিযান ১৭ নভম্বের ২০২২ থেকে শুরু হয় শেষ হয় ৭ মার্চ ২০২৩। ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে, প্রান্তিক কৃষকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে (২৮ টাকা) কেজি দরে তাদের উৎপাদিত ধান সরাসরি খাদ্যগুদামে বিক্রয় করবেন। কিন্তু তাদের অভিযোগ সকারের বেঁধে দেওয়া দামের চাইতে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশী হওয়ায় সরকারের কাছে কেউ ধান বিক্রি করেনি। ফলে এক দানা ধানও পড়েনি সরকারি গুদামে। কোনো কৃষক খাদ্যগুদামে ধান বিক্রয় না করায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ভাগ শূন্য।

এ ব্যাপারে উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের আন্দুলিয়া গ্রামের কৃষক কবির হোসেন বলেন, আমার বাড়ি থেকে উপজেলার খাদ্যগুদামের দূরত্ব প্রায় ১৮ কিলোমটিার। পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ায় আমরা সরকারকে ধান দিতে পারিনি। এছাড়া এবার খোলা বাজারে ধানের মূল্য বেশি। তাই গুদামে ধান দেয়নি।উপজেলার সিংহঝুলী গ্রামের কৃষক আবু তৈয়ব বলেন, যে বছর ধানের সরকারি মূল্য বেশি থাকে সে সময় খাদ্যগুদামে ধান নিয়ে গেলে গুদাম কর্তৃপক্ষ ধান ভেজা বা চিটা আছে বলে নিতে চায় না। আবার ভ্যান খরচ করে ফেরত আসতে হয়। নানা সমস্যার পাশাপাশি ধানের সরকারি ক্রয় মূল্য থেকেখোলাবাজার মূল্য বেশি হওয়ায় গুদামে ধান দেননি।

এদিকে কেজি প্রতি ৪২ টাকা দরে দুইবারে মোট ৭৭৬.০৮০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চালের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, উপজেলার চুক্তিবদ্ধ সচল মিল মালিকরা তাদের বরাদ্দকৃত চাল গুদামে সরবরাহ করবেন। এবছর দেখা গেছে, চালের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৬০৫.৬৩০ মেট্রিক টনের কাছাকাছি। এ উপজেলায় চুক্তিবদ্ধ মিলারের সংখ্যা ৩৫ জন হলেও মাত্র ১৬ জন মিলার চাল সরবরাহ করেছেন।

এ ব্যাপরে উপজেলার পুড়াপাড়া গ্রামের চুক্তিবদ্ধ মিল মালিক আব্দুল আলীম বলেন, উপজেলায় প্রায় ৬২ জন মিল মালিক রয়েছেন। তার মধ্যে ৩৫ জন মিলার চুক্তিবদ্ধ হলেও গুদামে চাল দেয়েছি আমরা ১৬ জন মিলার। তিনি বলেন খোলা বাজারে দাম বেশী হওয়ায় অনেকে চুক্তি করেও পরে চাল দেননি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১৫ মার্চ ২০২৩,/সন্ধ্যা ৭:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit