ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাইমুল হাসানের বিরুদ্ধে গভীর নলকূপের নারী অপারেটর ও তাঁর স্বামীকে অফিসে ডেকে কান ধরে উঠবস করার প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভুগী জাতীয় সংসদ সদস্যসহ বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট অভিযোগ করেন।
অভিযোগে জানান গেছে, গোহালবাড়ী ইউনিয়নের জয়দেবপুর মৌজার ৬৪৭ নং দাগের ২০১ নং গনকুপের নিয়োগকৃত নারী অপারেটর কুমিরজান গ্রামের মোঃ সাইফুদ্দিনের স্ত্রী মোসাঃ সখিনা বেগম। তিনি অভিযোগে বলেন, তাঁর পরিচালিত গভীর নলকূপে পানির সাথে বালি ও পাথর উঠলে পূণঃস্থাপনের জন্য ৭ জানুয়ারী বরেন্দ্র বহূমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজশাহীতে গনকূপ প্রতিস্থাপন বাবদ ১ লাখ টাকা জমা দেন। প্রতিস্থপনে স্থানীয় সহকারী প্রকৌশলী কালক্ষেপন করেন। গভীর নলকূপটি প্রতিস্থাপন না হলে শতাধীক জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ হবে না। ফলে কৃষক বোরো ধান চাষ করতে না পারলে পথে বসতে হবে।
ফলে বার বার সহকারী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করি এমন কি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সম্মানিত ব্যক্তিদের দিয়ে যোগাযোগ করায়। বার বার যোগাযোগ ও সুপারিশ করায় সহকারী প্্রকৌশলী আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে আমাকে বরেন্দ্র অফিসে ডেকে পাঠান। আমি আর আমার স্বামী অফিসে গেলে আমাকে ও আমার স্বামীকে অফিস কক্ষে আটকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালজ করেন সহকারী প্্রকৌশলী মোঃ নাইমুল হাসান।
গালমন্দ করেও ক্ষেন্ত হননি। আমাকে ও আমার স্বামীকে কান ধরে উঠবস করান। কান ধরে উঠবস করার পর আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন এরপর অফিসে আসলে অপারেটর থেকে বাতিল করাসহ নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখান তিনি।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নাইমূল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কান ধরানোর সত্যতা শিকার করেন। তিনি বলেন, সখিনা বেগম বিভিন্ন জনের মাধ্যমে তদবির করানোর জন্য কান ধরানো হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/সন্ধ্যা ৬:৩৫