ডেস্ক নিউজ : মহানবী (সা.) ছিলেন আরবের বিশুদ্ধতম ভাষার অধিকারী। তিনি সবচেয়ে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতেন। ভাষা ব্যবহারে তিনি ছিলেন অত্যন্ত যত্নবান। শুধু তা-ই নয়, রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে যেমন ভাষার প্রতি যত্নবান ছিলেন, তেমনি অন্যদেরও যত্নবান হয়ে উদ্বুদ্ধ করতেন।
তিনি কাউকে শব্দের ভুল প্রয়োগ বা ভাষার বিকৃতি করতে দেখলে তা শুধরে দিতেন। একবার এক সাহাবি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘আ-আলিজু’ শব্দটির অর্থ আমি কি প্রবেশ করব? আরবি ভাষায় এই অর্থে ব্যবহৃত হলেও তা অনুমতি প্রার্থনার জন্য যথেষ্ট নয়। তখন রাসুল (সা.) তাঁর দাসীকে বললেন, বাইরে গিয়ে তাকে এ কথা বলতে বলো, ‘আসসালামু আলাইকুম! আ-আদখুলু?’ কারণ সে সুন্দরভাবে অনুমতি প্রার্থনা করেনি। (আল-আদাবুল মুফরাদ)
ইমাম মুসলিম (রহ.) তাঁর সহিহ মুসলিমে ‘আল-আলফাজু মিনাল আদাব’ শিরোনামে অধ্যায় এনেছেন। যেখানে উপযুক্ত শব্দচয়ন সম্পর্কে হাদিস আনা হয়েছে। এ অধ্যায়ের হাদিসগুলোয় রাসুল (সা.) ভুল শব্দ প্রয়োগের সংশোধনী এনেছেন এভাবে ‘আঙুর’কে ‘কারম’ বোলো না, ‘ইনাব’ কিংবা ‘হাবালাহ’ বোলো। কাউকে ‘দাস’ না বলে ‘চাকর’ বোলো।
কারণ সবাই আল্লাহর দাস ও দাসী; মনিবকে ‘প্রভু’ বোলো না, ‘সর্দার’ বোলো। এমনকি শত্রুর সঙ্গে বিতর্ক করার সময়ও সুন্দরতম ভাষায় বিতর্ক করার নির্দেশ রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে নবী, আপনার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করুন প্রজ্ঞা ও সদুপদেশের মাধ্যমে। আর তাদের সঙ্গে বিতর্ক করুন সর্বোত্তম পন্থায়।’ (সুরা নাহল, আয়াত : ১২৫)
কিউএনবি/আয়শা/২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৪:৩৫