শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৭ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাবে না: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৩৩ Time View

ডেস্ক নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাবে না। একটি স্মার্ট উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হয়ে ওঠার জন্য এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, “ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গাজীপুরের সফিপুরে আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির ‘৪৩তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৩’-এ প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ এই দেশ আর পেছনে ফিরে তাকাবেনা। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের যে পদক্ষেপ নিয়েছি, এতে এই বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই বাংলাদেশ আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবো। স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, আমরা স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপন করেছি, আমাদের দেশে মেট্রো রেল চালু হয়েছে, পাতাল রেলও চালু হবে, কর্ণফূলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল করে দিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে আমরা করেছি। আর এই প্রতিটি স্থাপনার নিরাপত্তার সঙ্গে আনসার বাহিনী বিশেষভাবে জড়িত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশটা আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন করেছি এবং আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, আমরা আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আসনার ও ভিডিপি সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং একটি খোলা জীপে করে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক এবং বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত কমানড্যান্ট মো. ফখরুল আলম তাঁকে স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৮০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যের হাতে আটটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পদক তুলে দেন।

পরে তিনি আনসার একাডেমীতে বিভিন্ন স্থাপনার উদ্বোধন করেন এবং আনসার ও ভিডিপি পরিবেশিত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কোরিওগ্রাফি উপভোগ করেন।

বিএনপি জামাতের অগ্নি সন্ত্রাস এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে আনসার বাহিনীর ভ’মিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও জ্বালাও পোড়াও যখন বিএনপি জামাত জোট শুরু করেছিল, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, গাড়িতে যখন তারা আগুন দিচ্ছিল আসনার বাহিনীর সদস্যরা তখন নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করে এই অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। তাছাড়া জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনেও ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

 পাশাপাশি খেলাধূলা এবং শরীরচর্চাসহ ক্রীড়াঙ্গনেও আনসার বাহিনীর সদস্যরা বিরাট ভূমিকা রেখে যাচেছ এবং অনেক পুরস্কারও পাচ্ছে,বলেন তিনি।

দেশের তৃণমূলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা বিনে পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি এবং তাদের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, যাতে করে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।

তিনি এ সময় করোনা পরবর্তী রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ^ অর্থনৈতিক মন্দার উল্লেখ করে দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদী জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনার আহবান পুণর্ব্যক্ত করে গ্রামীন জনগণকে আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যরা সহায়তা করতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনার অতিমারী এবং পরবর্তী রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ^প্যাপী অর্থনৈতিক যে মন্দা দেখা দিয়েছে তা থেকে আমাদেরকে মুক্ত রাখতে হবে। এজন্য জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করে আমি আহবান করেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে, যত অনাবাদী জমি আঝে সবগুলো আবাদ করতে হবে। সেক্ষেত্রে গ্রামের লোকদের শেখানো, তাদের দিয়ে কাজ, ফসল উৎপাদন ও তা সংরক্ষনের করানোর মত গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা কিন্তু আনসার ও আমাদের গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা পালন করতে পারেন। আমি আশাকরি আপনারা তা রাখবেন।

তিনি পদক প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এভাবেই আপনাদের কাজের স্বীকৃতি দিয়ে কাজের উৎসাহ যেন বৃদ্ধি পায় সেটাই আমরা নিশ্চিত করতে চাই।

বাংলাদেশ আনসার বাহিনী এখন আধুনিক ও মডেল ব্যাটালিয়নে রূপ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে আনসার বাহিনীর উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমরা আনসার বাহিনীর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন, সীডমানি দিয়ে ট্রাষ্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠান,কমব্যাট ড্রেসহ তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।

তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে আনসার বাহিনীকে জাতীয় পতাকা দিয়েছি। নানা সুযোগ-সুবিধা ও চাকরি স্থায়ী করেছি। আনসার বাহিনীর পদোন্নয়ন ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আনসার সদস্যরা মাসিক যে ভাতা পান, তা বাড়ানো হয়েছে। ২৭টি উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন অফিস ও আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গরিব আনসার সদস্যদের জন্যও নতুন ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখনই আনসারদের জন্য সব কিছু করা হয়।

তিনি ভাষণের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে আনসার বাহিনীর সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি মুজিব নগর সরকারকে তাদের গার্ড অব অনার প্রদানের কথাও উল্লেখ করেন।

সূত্র: বাসস

কিউএনবি/অনিমা/১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩/বিকাল ৪:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit