মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
দেশের ইতিহাসে প্রথবারের মতো রাঙামাটির রাবিপ্রবিতে অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে “আইসিবিসি” দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল করলেন ডা. জুবাইদা আখাউড়ায় পচা-বাসি খাবার বিক্রির দায়ে তিন হোটেল মালিককে জরিমানা রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা: ‘নতুন তথ্য’ জানাল ইরান যুদ্ধবিরতির পর জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩ ভারতে জমকালো আয়োজনে শুরু মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৫ অবসর ঘোষণার পরই বৃন্দাবনে হাজির কোহলি, নিলেন গুরুর আশির্বাদ কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর ওপর আ.লীগের নেতাকর্মিদের হামলা এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করা সেই আদমপুর বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করলেন মোদি

নজরদারির প্রযুক্তি জাতিগত অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করবে: সুজন

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৪ Time View

ডেস্কনিউজঃ ইসরায়েল থেকে নজরদারির বিতর্কিত প্রযুক্তি কেনার বিষয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং আইনসম্মতভাবে আড়িপাতার ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেয়ার প্রেক্ষিতে উদ্বেগ জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

রোববার সুজন এক সংবাদ বিবৃতিতে দীর্ঘদিন থেকেই সরকার নাগরিকের ওপর নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে উল্লেখ করে বলে, প্রযুক্তিটির মাধ্যমে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একান্ত ব্যক্তিগত কথা-বার্তা ফাঁস করা হয়েছে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবিশেষকে অপমান-অসম্মান করা বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য। তাই শুধু রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে সরকারের যে দাবি, তা অনেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ। তাছাড়া জাতি হিসেবে পরিপূর্ণ বিকাশে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেখানে অপরিহার্য, সেখানে নজরদারির প্রযুক্তি আমাদের জাতিগত অগ্রগতিকে নিশ্চিতভাবেই বাধাগ্রস্ত করবে। এমতাবস্থায়, একটি সুনির্দিষ্ট নীতিকাঠামো প্রণয়নের পূর্ব পর্যন্ত এ ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ রাখার জোর দাবি জানাচ্ছে সুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক শাসনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ নাগরিক অধিকার। এর মাধ্যমে নাগরিকের গোপনীয়তা, মৌলিক অধিকারসহ সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। আমরা মনে করি, জনগণের করের টাকায় জনগণের ওপর নজরদারি চালানোর প্রযুক্তি ব্যবহারের বিস্তৃতি ও পরিধি কী হবে, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা প্রয়োজন। জনগণ এটি জানার অধিকার রাখে বলেও আমরা মনে করি। এমন প্রযুক্তি কেনার নেপথ্যের উদ্দেশ্যসহ ঠিক কোন প্রেক্ষিতে ও কার স্বার্থে এর ব্যবহার হবে এবং ঠিক কোন সুনির্দিষ্ট আইন ও নীতি অনুযায়ী এসব প্রযুক্তি কেনা হলো, সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রশ্নগুলোর সুনির্দিষ্ট ও বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা প্রয়োজন বলেও মনে করে সুজন।

সুজনের আশঙ্কা, সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অনুপস্থিতিতে এমন প্রযুক্তির ব্যবহারে তথ্যের অবাধ প্রবাহের ব্যাঘাত সৃষ্টিসহ ব্যক্তিগত তথ্যের ও যোগাযোগের গোপনীয়তা, সুরক্ষা এবং বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ একাধিক সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার খর্ব হওয়ার ব্যাপক ঝুঁকি সৃষ্টি হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের প্রযুক্তির অপব্যবহার হলে দেশে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বলে কিছুই থাকবে না। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নিকট অতীতে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ফাঁস হওয়া বিভিন্ন ফোনালাপের ভিত্তিতে সুজন মনে করে যে, ইতোমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ এক বা একাধিক বিশেষায়িত সরকারি সংস্থা নজরদারির বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু সরকার কখনোই এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি।

আমাদের সংবিধানের ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার।

এর সাথে নাগরিকের মর্যাদাও জড়িত। তাই এ নিয়ে অস্পষ্টতা সৃষ্টি না করে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিকাঠামো প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই।

কিউএনবি/বিপুল/১৫.০১.২০২৩/ রাত ৮.২১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

May 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit