হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সামিয়ার বোন সকালে সামিয়া ও তার এক ভাগ্নিকে বাড়িতে রেখে তার বোন বাজারে যায়। সানিয়াকে ঘরে রেখে তার ভাগ্নি ছাদে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই সামিয়ার আর্তচিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়িওয়ালা সহ প্রতিবেশিরা দৌড়ে তার কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান সামিয়া মেঝেতে পড়ে ছটফট করে
কান্না করছে। তার গলা, দুই হাত ও পায়ের রগ কাটা। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (তদন্ত) সহ পুলিশের একটি দল।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান জানান, ওই কিশোরীকে সার্জারী বিভাগেভর্তি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে সার্জারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেছেন। তবে সে আশংকামুক্ত রয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, খবর পেয়ে ওসি স্যার সহ আমরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। হামলাকারীকে তারা কাউ দেখেনি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আশা করছি, তদন্তে ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হবে।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ জানুয়ারী ২০২৩/সকাল ১১:৩৫