ডেস্কনিউজঃ বেলারুশে আরও নতুন সেনা পাঠিয়েছে রাশিয়া। ফলে উত্তর দিক থেকে কিয়েভে আক্রমণ করার আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেলারুশ থেকে সেনা পাঠিয়েই ইউক্রেনের রাজধানী ঘেরাও করেছিল মস্কো। তবে তখন কিয়েভ দখলের পরিবর্তে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে মনোযোগ সরিয়ে নেয় রাশিয়া। এখন আবার বেলারুশে সেনা বৃদ্ধি করায় নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে কিয়েভের শাসকদের মধ্যে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনা এবং সমরাস্ত্র নিয়ে বেলারুশ গিয়েছে নতুন ট্রেন। বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো শুক্রবার রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে তাদের সামরিক ঘাঁটি সফর করেছেন। এ সময় রুশ সেনাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন লুকাশেঙ্কো। সামনে দুই দেশ যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বলে জানানো হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে।
মস্কো জানিয়েছে, রুশ সেনারা পরিকল্পনা মাফিক তাদের দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত। এর আগে বেলারুশ জানিয়েছিল যে, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চলেছে তারা।
ফলে প্রতিবেশী দেশটি থেকে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র আসতে চলেছে বেলারুশে। দুই দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতই এর প্রধান লক্ষ্য। রাশিয়া থেকে সেনা সদস্য, অস্ত্র এবং বিশেষ প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আসা অব্যাহত থাকবে।
যদিও বেলারুশের সরকার একাধিকবার জানিয়েছে যে, তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে যোগ দেবে না। তবে এমন কথায় বিশ্বাস রাখতে পারছে না ইউক্রেনের শাসকগোষ্ঠী। এর আগেও সামরিক মহড়ার কথা বলে বেলারুশে গিয়েছিল রুশ সেনারা। কিন্তু সেই সেনারাই পড়ে ইউক্রেনে আক্রমণ করে। কিয়েভের অভিযোগ, রাশিয়া বেলারুশের আকাশসীমা ব্যবহার করে ড্রোন ও মিসাইল হামলা অব্যাহত রেখেছে।
বেলারুশ থেকে নতুন করে আক্রমণ হলে এই যুদ্ধে নতুন একটি ফ্রন্ট চালু হবে। এরইমধ্যে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই যুদ্ধে। লুকাশেঙ্কো বরাবরই পশ্চিমা দেশগুলোকে এই যুদ্ধের জন্য দায়ী করেছেন। বেলারুশ মনে করে, রাশিয়ার শর্ত মেনে নিয়ে ইউক্রেনই পারে এই যুদ্ধ শেষ করতে।
কিউএনবি/বিপুল/০৬.০১.২০২৩/ রাত ৮.৩৭