আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে রিজার্ভ সেনা বিষয়ে আগের নীতি থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে তাইওয়ান। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের কার্যালয় থেকে বলা হয়, বেসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকের পর সেনাবাহিনীতে নাগরিকদের চাকরির সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারাসহ সাই-এর নিরাপত্তা দলটি ২০২০ সাল থেকে তাইওয়ানের সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, চীনের বিভিন্ন একতরফা আচরণ আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে।
সামরিক বাহিনীতে আরও যেসব সংস্কার আসতে পারে তার মধ্যে রয়েছে, সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে নিযুক্ত সেনাদের জন্য প্রশিক্ষণ জোরালো করা। এর আওতায় মার্কিন বাহিনীগুলোর ব্যবহৃত যুদ্ধ নির্দেশনাগুলো তাইওয়ানের বাহিনীতে ব্যবহার করা হতে পারে। ওই কর্মকর্তা বলেন, নতুন ব্যবস্থাটি ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হতে পারে।
সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগের প্রবণতা থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে স্বেচ্ছাসেবীভিত্তিক পেশাদার বাহিনীর দিকে ঝুঁকছিল তাইওয়ান। তবে চীন ক্রমাগত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করায় এবং ইউক্রেনের রুশ অভিযানের পরিস্থিতিতে তাইওয়ান তাদের প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে চাইছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) তাইওয়ান সরকার জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধবিমান ও ড্রোনসহ চীনা বাহিনীর ৭১টি বিমান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম বলছে, এটি এযাবৎকালে চীনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা।
চীন বলছে, তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ ও যুক্তরাষ্ট্রের উসকানির জবাবে এ মহড়া চালিয়েছে তারা। তবে তাইওয়ান বলছে, এ মহড়ার মধ্য দিয়ে বোঝা গেছে, বেইজিং আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট করছে এবং তাইওয়ানের জনগণকে আতঙ্কিত করতে চাইছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৭ ডিসেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৭:০৫