মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

ময়মনসিংহ মহানগর আ’লীগের সভাপতি পদে আলোচনার শীর্ষে সাদেক খান মিল্কি টজু

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ৩১৬ Time View

ডেস্কনিউজঃ আগামী ৩রা ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলা শহর সহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সেই সম্মেলনকে ঘিরে সৎ, ন্যায়,নিষ্ঠা আদর্শবান,জনপ্রিয়, রাজনৈতিকদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে তৃণমূলের মাঝে চলছে আলোচনা। এরমধ্যে ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু আছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরেছিলেন, সেই দিন তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে খোলা ট্রাকে করে এয়ারপোর্ট থেকে শেরেবাংলা নগর অভিমুখমিছিলে শ্লোগান দিয়েছিলেন, অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু। আওয়ামী লীগের দূর্দিনের এই নেতা ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ শহর শাখার যুগ্ম আহবায়ক, ১৯৭৯ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য, ১৯৮০ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ মনোনীত আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে শহর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য, ২০০১ সালে শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক, এবং ২০০২-২০০৮, ২০০৯- ২০১৬ এর সম্মেলন পর্যন্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালনসহ ২০১৮ থেকে অদ্যবধি জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।

জানা গেছে, অ্যাডভকেট সাদেক খান মিল্কি টজুর আপন চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিবুর রহমান খান মিল্কি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক, যুব লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ভাই রিয়াজুল হক খান মিল্কি, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করা সহ আরও দুই ভাই মাসুদুল হক খান মিল্কি কিশোরগঞ্জের ইটনা থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাহিন খান মিল্কি ইটনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সততা,নিষ্ঠা, আদর্শ,ও নীতিতে অটল বলেই সফল এই সাদামাটা আওয়ামীগ নেতা অ্যাডভকেট সাদেক খান মিল্কি টজু দলের আদর্শের প্রশ্নে কোনোদিন আপোষ করেননি। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের কর্মীদের কাছে প্রিয় নন, সাধারণ জনগণের কাছেও একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত বলে ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।

অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু বলেন, আমি ২০০২ সালে ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পৌরসভার ২১ টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করি,যা ঐ সময় জামাত- বিএনপি জোট সরকারের আমলে অনেক কষ্ট সাধ্য বিষয় ছিল। পরবর্তী ২০১১- ২০১৫ সালে ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২১টি ওয়ার্ডে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্মেলন করে দলকে সুসংগঠিত করেছি। শুধু তাই নয়, তথাকথিত ১/১১ এ জননেত্রীকে শেখ হাসিনাকে বাদ দেয়ার চক্রান্ত হয়েছিল। নেত্রী কারাগারে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগদানকারী ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেছিলেন “জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দিব না “। সাদেক খান মিল্কি টজু ছিলেন সে সময়ে নেত্রীর পক্ষে সোচ্চার।

তিনি আরও বলেন, ৭৫ পরবর্তী জিয়ার সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছি এবং জামাত বিএনপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলন -সংগ্রামে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্বদান ও সক্রিয় অংশ গ্রহণ করি। তবে এখন দল যাকে সার্বিক পর্যালোচনায় যোগ্য মনে করবেন তাকেই ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মী এবং অধিকাংশ কাউন্সিলর নেতৃবৃন্দ অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু’র যথার্থ মূল্যায়ন প্রত্যাশা করেন।

কিউএনবি/বিপুল/২৩.১১.২০২২/ রাত ১১.৪০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit