বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন

ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল : ভালো না খারাপ?

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ১২০ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : শুকনো ফল সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায় সেটা খুবই পরস্পরবিরোধী। কেউ কেউ বলে এটি একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর নাস্তা। অন্যরা দাবি করে এটি চিনির চেয়ে খুব ভালো নয়। যাইহোক শুকনো ফল আপনার স্বাস্থ্যকে কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে চলুন জেনে নেই।

প্রথমেই জেনে নিই ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল কী?

শুকনো ফল এমন ফল যা শুকিয়ে প্রায় সমস্ত পানির উপাদান অপসারণ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ফল সংকুচিত হয়ে শক্তি সমৃদ্ধ শুকনো ফলে পরিণিত হয়।  এই ফলগুলোর মধ্যে আছে কিশমিশ, খেজুর, ডুমুর, এপ্রিকট ইত্যাদি। শুকনো ফলের অন্যান্য ধরনও পাওয়া যায়। যেমন কিছু শুকনো ফলে চিনির প্রলেপ থাকে। এর মধ্যে রয়েছে আম, আনারস, ক্র্যানবেরি, কলা এবং আপেল। শুকনো ফল তাজা ফলের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। দীর্ঘ ভ্রমণে আপনার সঙ্গী হতে পারে।

উপকারিতা

শুকনো ফল মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই শুকনো ফল অত্যন্ত পুষ্টিকর। এক টুকরা শুকনো ফলে তাজা ফলের মতোই  পুষ্টি থাকে। তবে দেখতে ছোট মনে হয় কারণ সব পানি ফল থেকে বের হয়ে যায়।  

ওজন অনুসারে, শুকনো ফলে তাজা ফলের চেয়ে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ ৩.৫ গুণ বেশি থাকে। অতএব, এক পরিবেশনে পাবেন অনেক ভিটামিন এবং খনিজ।   কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে যেমন ফল শুকিয়ে গেলে ভিটামিন সি এর পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। শুকনো ফলের মধ্যে সাধারণত প্রচুর ফাইবার থাকে।   অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি দুর্দান্ত উৎস। বিশেষ করে পলিফেনল। পলিফেনল রক্ত ​​​​প্রবাহ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং অনেক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এ ছাড়াও এতে থাকে প্রাকৃতিক চিনি।  

>> বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ব্লাডপ্রেশার কমাতে পারে ড্রাই ফ্রুটস। এতে থাকে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম। তাই বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা, কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে ব্লাড প্রেশার থাকলে।

>> যারা ডায়াবেটিস এর রোগী তাদের জন্য খুব কার্যকর। তবে কিশমিশ বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে।

>> ওজন হার্টের রোগ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ বাড়ার কারণ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে খেতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস। এই খাবার সহজেই শরীর থেকে অতিরক্ত মেদ কমায়।  

>> শুকনা কিসমিস রক্তচাপ কমায়, পেট ভরায়, কোলেস্ট্রেরল কমায়, প্রদাহ কমায়। রক্তে চিনির মাত্রাও ঠিক রাখে।  

>> খেজুর গর্ভাবস্থায় খুব উপকারী এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে আছে আয়রন, পটাশিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি।

অপকারিতা

তবে খুব বেশি শুকনা ফল খাবেন না। এর থেকে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও খেতে যাবেন না। কিছু শুকনো ফলকে আরও মিষ্টি এবং আকর্ষণীয় করতে চিনি বা সিরাপের প্রলেপ দেওয়া হয়। এই চিনি স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন ওজন বেড়ে যাওয়া, হৃদরোগ এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। চিনিযুক্ত শুকনো ফল এড়িয়ে যাওয়া ভালো।  

সূত্র : হেল্থ লাইন।  ‍

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৩ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit