স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে হরিনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় সন্ত্রাসী হামলা ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়পত্র সংগ্রহে ব্যর্থ হয়ে পুন:তফশিলের দাবিতে পাঁচ প্রার্থী দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ নয় জনের বিরুদ্ধে রোববার আদালতে মামলা করেছেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে শিক্ষা অফিসারসহ আসামিদেরকে শোকজ করে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানাযায়, মনিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের হরিনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পর পর দুইবার নিয়মিত কমিটি গঠনে ব্যর্থ হয়ে এডহক(ছয়মাস মেয়াদী) কমিটি গঠন করা হয়। এডহক কমিটির মেয়াদ শেষে কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেন নিয়মিত কমিটি গঠনের। সে মোতাবেক ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করা হয়। নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি দিপংকর রায় এবং মেঘনাথ বিশ্বাষের নেতৃত্বে পৃথক দুইটি প্যানেল অংশ নেওয়ার ঘোষনা দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। ফলে গত ৩ নভেম্বর প্রিজাইডিং অফিসারের কার্যালয়(উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার) থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের তারিখ ছিল।
বর্তমান সভাপতি দিপংকর রায় সহ তার প্যানেলের প্রার্থীরা(৫ জন) অভিভাবক সদস্য পদের জন্য মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দী মেঘনাথ বিশ্বাষসহ তার প্যানেলের পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে পারেননি। মেঘনাথ বিশ্বাসসহ অপর প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, সকাল ১১ টার দিকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলে বর্তমান সভাপতি দিপংকর রায়ের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না দিয়ে অফিস চত্বর থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেন বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি দিপংকর রায়। পরে ভূক্তভোগী পাঁচ প্রার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে পুন:তফশিলের দাবিতে পাঁচ প্রার্থী মেঘনাথ বিশ্বাষ, রামেশ ঢালি, মৃত্যুজ্ঞয় বিশ্বাষ, মান্দার বিশ্বাষ ও অনিতা বিশ্বাষ বাদি হয়ে প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক,বর্তমান সভাপতিসহ নয় জনের বিরুদ্ধে গত রোববার যশোরের সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে সহকারি জজ বিলাশ মন্ডল জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ আসামিদের শোকজ করে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক মিহির কান্তি রায় ও প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার শোকজপত্র প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তিন কর্মদিবসের মধ্যেই জবাব দাখিল করা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/২১ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৫০