শান্তা ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনান কেন্দুয়া উপজেলার ভগবতীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, রাস্ট্রীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করা, শিক্ষাথূীর অভিবাবকদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চান্দপাড়া গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী শফিকুল ইসলাম বুধবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার কেন্দুুয়া উপজেলার ভগবতীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, রাস্ট্রীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন না, শিক্ষার্থীর অভিবাবকদের সাথে অসদারণ, বিদ্যলয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত এবং এলাকায় বিভিন্ন গোলযোগ সৃষ্টি করে মারামারিসহ মামলায় জড়িত থেকে বিদ্যালয় ও এলাকায় অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করেন। এ ব্যাপারে সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়। আগের জেলা শিক্ষা অফিসার অভিযোগ তদন্ত করে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জা মো. সোহাগ যথারিতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ শেষ কার্যদিবসে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা বরাবরে প্রেরণের জন্য স্বাক্ষর করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে ওই প্রতিবেদন গতকাল বুধবার পর্যন্ত পাঠানো হয়নি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে জানালে শিক্ষা অফিসার বিষয়টি দেখছি বলে সময় ক্ষেপন করছেন।
ভগবতীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বা কোন অভিবাবকের সাথে অসদাচরণ করেন না। আমি সরকারি নিয়ম মেনে সব কিছু করে থাকিন। স্থানীয় একটি মহল আমার বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যে অভিযোগ করে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় আশুজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলী বলেন, দীর্ঘ ১০- ১২ বছর ধরে এই শিক্ষক ুষক্ষকতা করছেন। শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাথরুম, বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা পরিস্কার করায়, কারণে অকারণে ছাত্রদের মারধর এবং ছাত্র অভিবাবকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বিষয়টি আগের জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাছে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কেন্দুয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জা মো. সোহাগ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে দাখিল করা হয়েছে। পরবর্তী বিষয়টি আমার জানা নেই। নেত্রকোনার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাহমিনা খাতুন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
কিউএনবি/আয়শা/০৯ নভেম্বর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:৫০