বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪১ অপরাহ্ন

রাজধানীতে বড় প্রকল্পের কাজের কারণে যানজট হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২
  • ১০৬ Time View

ডেস্ক নিউজ : রাজধানীতে বড় বড় প্রকল্পের কারণে রাস্তা দখল হচ্ছে। যে কারণে যানজট বাড়ে। রাজনৈতিক কর্মসূচিও এ ক্ষেত্রে বড় একটি কারণ। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষে গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য টাস্কফোর্সের সভায় এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল-এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অনেক রাস্তা দখল করে রেখেছে। এছাড়া রাজধানীতে যে পরিমাণ সড়ক দরকার, তার চেয়ে কম আছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণেও যানজট তৈরি হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার কারণে ঢাকা শহরে তীব্র যানজট হয়। তারা যদি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতো তাহলে এত যানজট থাকতো না। ৬০ ভাগ যানজট ট্রাফিক পুলিশের কারণেই হয়। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা এভাবে ট্রাফিকের ওপর চড়ায় হয়ে যান.. আপনারা যে যানজট সৃষ্টি করেন, এখানে তো সে ব্যাপারে বলেননি।

কিছুক্ষণ আগে বিএনপির যুবদল যে জটটা সৃষ্টি করেছে এই এলাকায়, আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী; আমারই আসতে অন্তত ১৫ মিনিট দেরি হয়েছে। আমি একটা কথা বললাম। আপনি দেখছেন মেট্রোরেল, আপনি দেখছেন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এগুলো আসছে খুব সহসাই। আমিও তো ভুক্তভোগী। কাজেই আপনি যে যন্ত্রণা ফেস করছেন, আমিও সেই যন্ত্রণা ফেস করছি। তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলের জন্য বড়-বড় রাস্তাগুলো অকেজো হয়ে আছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও ঠিক সেভাবেই আছে। আর আমাদের ঢাকা শহরে আরও বেশি রাস্তার প্রয়োজন। যেটা আমরা এখনও তৈরি করতে পারিনি। আধুনিক শহরের জন্য অন্তত ২৫ ভাগ রাস্তা দরকার। আমাদের আছে সাড়ে আট ভাগ। এই জায়গাটাতে আমাদের দুর্বলতা রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। টার্মিনাল ছাড়া টোল আদায় করা যাবে না। স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দেবে। সেখানে কোন কোন স্থান থেকে কী পরিমাণ টোল আদালত করা যাবে তা উল্লেখ থাকবে। এর বাইরে টোল বা চাঁদা আদায় করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হবে।

সভা নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো হলো: অবৈধ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলগুলোকে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) আওতায় আনা হবে। ড্রাইভার ও শ্রমিকদের ডোপ টেস্ট করানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। হেলমেটের মান নির্ধারণের জন্য বিআরটিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। ফেলে নির্ধারিত হেলমেটের বাইরে কেউ অন্য হেলমেট পরা যাবে না। বিআরটিএ’র জনবল বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৭ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit