ডেস্ক নিউজ : অন্য কিছুর চেয়ে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা অতি উত্তম। কারণ আমরা অন্যদের চেয়ে নিজেদের সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী থাকি। তাই অন্য কিছুর চেয়ে নিজেদের সম্পর্কে আমরা বেশি জানি। এ জন্য মহান আল্লাহ নিজেকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আর নিদর্শন আছে তোমাদের মধ্যেও, তোমরা কি দেখ না। ’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ০৮)
এখানে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চর্মচোখ দিয়ে নিজেকে দেখতে বলা হয়নি; বরং অন্তরের গভীর দৃষ্টি দিয়ে নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। ইমাম গাজালি (রহ.) বলেন, “আল্লাহর নিদর্শনাবলির মধ্যে অন্যতম নিদর্শন হলো ‘বীর্য থেকে মানুষের সৃষ্টি’। আপনার জন্য সবচেয়ে নিকটবর্তী নিদর্শন আপনি নিজেই। আপনার মধ্যেই কত আশ্চর্যের বিষয় বিদ্যমান। এসব আশ্চর্যের বিষয় আমাকে-আপনাকে আল্লাহর বড়ত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। মানব সৃষ্টির মাঝে আল্লাহর কত কুদরত বিদ্যমান, তার শতভাগের এক ভাগ জানতে গেলেও শত শত বছর কেটে যাবে, তবু জানা শেষ হবে না। কিন্তু আপনি তো অন্যমনস্ক! হে গাফিল ব্যক্তি! আপনি নিজের সম্পর্কে উদাসীন, নিজেকেই আপনি জানেন না, তাহলে অন্য কিছু সম্পর্কে জানার ব্যাপারে আপনি কিভাবে আগ্রহী হবেন? ভেবে দেখুন! আপনি কেবল এক ফোঁটা বীর্য থেকে সৃষ্টি হয়েছেন। ”
আল্লাহ বলেন, ‘ধ্বংস হোক মানুষ! সে কতই না অকৃতজ্ঞ। (সে কি ভেবে দেখে না) কী বস্তু থেকে (আল্লাহ) তাকে সৃষ্টি করেছেন? শুক্রবিন্দু থেকে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তার তাকদির নির্ধারণ করেছেন। অতঃপর তার (ভূমিষ্ঠ হওয়ার) রাস্তা সহজ করে দিয়েছেন। অতঃপর তিনি তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন। অতঃপর যখন তিনি ইচ্ছা করবেন তাকে পুনর্জীবিত করবেন। ’ (সুরা আবাসা, আয়াত : ১৭-২২) অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তাঁর (আল্লাহর) নিদর্শনাবলির মধ্যে অন্যতম এই যে তিনি তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমরা এখন (জীবিত) মানুষ হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছ। ’ (সুরা রুম, আয়াত : ২০)
কিউএনবি/আয়শা/২৩ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:৪৮