ডেস্কনিউজঃ বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পালের বিরুদ্ধে প্রকৌশল অধিদপ্তরের নৈশ প্রহরী আলমগীর হোসেনকে (৪৫) পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে আলমগীরকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আলমগীর হোসেনের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায়।
বিদ্যুৎ সংযোগের নামে আরও ৩৪ চা-শ্রমিকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগবিদ্যুৎ সংযোগের নামে আরও ৩৪ চা-শ্রমিকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন সাংবাদিকের বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে বগুড়ায় থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। তাই তিনি উপজেলা পরিষদের প্রকৌশলী ও ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদে গেলে ইউএনও আনসারদের নির্দেশ দেন আমাকে তার কাছে নিয়ে যেতে। তার নির্দেশে দুই আনসার আমার হাত ধরে দ্বিতীয় তলায় ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানে আরেকটি অন্ধকার ঘর ছিল। ওই ঘরে নিয়ে আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে ইউএনও স্যার নির্দয়ভাবে পেটান।’ অচেতন না হওয়া পর্যন্ত তিনি আমাকে পেটাতে থাকেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সাংবাদিকদের ইউএনও সমর কুমার পাল বলেন, ‘মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বুধবার রাতে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সিঁড়ির নিচে বেঞ্চে আলমগীরের স্ত্রীকে শুয়ে থাকতে দেখি। আলমগীর তার স্ত্রীকে সেখানে রেখে চলে যায়। যখন জানতে পারি তার মেয়ের বাড়ি পাশের শাজাহানপুর উপজেলায়, তখন তার স্ত্রীকে সেখানে পাঠাই। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে আলমগীর উপজেলা কমপ্লেক্সে ফিরলে আমি তাকে চলে যেতে বলি এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে দেই। আমি তাকে মারধর করিনি ।
এ বিষয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি তদন্ত করছেন।’ প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কিউএনবি/বিপুল/২৩.০৯.২০২২/ রাত ১০.২৩