আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঈদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থীর অনুষ্ঠান কেন হবে তা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। বেঙ্গালুরুর ঈদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থীর অনুষ্ঠান হবে বলে কর্নাটক সরকার অনুমতি দেয়ার পর হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। হাইকোর্টও অনুমতি দেয়ায় ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কর্নাটক ওয়াকফ বোর্ড। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ ওই মামলার শুনানি করেছে।
আজ বুধবার গণেশ চতুর্থীর অনুষ্ঠান শুরুর আগেই এই জটিলতা কাটাতে উদ্যোগী হয়েছে শীর্ষ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতে জানান, কর্নাটক সরকার বেঙ্গালুরু ঈদগাহ মাঠকে বুধবার এবং বৃহস্পতিবার গণেশ চতুর্থী উদ্যাপনের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এ নিয়ে কর্নাটক হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। মঙ্গলবার প্রথমে এই মামলার শুনানির সময় জানানো হয়, দুই বিচারপতির মতপার্থক্য রয়েছে। তাই মামলাটি তিন সদস্যের বেঞ্চে পাঠানো হচ্ছে। ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি এএস ওকা এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ।
শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে প্রশ্ন তোলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মনে এমন ধারণা দেবেন না যে, তাদের অধিকার এভাবে পদদলিত হতে পারে। তার আবেদন কোনো ভাবেই ঈদগাহ ময়দানে যেন গণেশ চতুর্থী উৎসব পালনের অনুমতি দেওয়া না হয়। তিনি জানান, কোনো দিন ওই স্থানে কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালিত হয়নি। আইন অনুযায়ী ওই জায়গা ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি। হঠাৎ ২০২২ সালে বিতর্কিত জমি বলে ঘোষণা করছে এক দল।
অন্য পক্ষের আইনজীবী মুকুল রোহতগির দাবি, দিল্লিতে দশেরা উপলক্ষে সর্বত্র কুশপুতুল দাহ হয়। সেখানে কি মানুষ বলে যে হিন্দুদের এই অনুষ্ঠান পালন করা যাবে না? আইনজীবীর কথায়, আমাদের উদার হওয়া দরকার। গুজরাটে অনুষ্ঠানের সময় রাস্তা-সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। তাহলে ওই ময়দানে দু’দিন গণেশ চতুর্থী পালনের অনুমতি দিলে কী এমন হয়ে যায়!
এর প্রেক্ষিতে আইনজীবী দাভের মন্তব্য, ভারতে এমন কোনো মন্দির আছে যেখানে সংখ্যালঘুদের প্রার্থনার জন্য স্বাগত জানানো হয়? যুক্তি ও পাল্টা যুক্তিতে উত্তপ্ত হয়ে যায় কোর্ট রুম।
সূত্র: আনন্দবাজার।
কিউএনবি/আয়শা/৩১ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:৫০