এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর) : যশোরের চৌগাছায় থানা পুলিশ শাহিদা খাতুন (২২) নামে এক নারী শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছেন। রোববার ২৮ আগস্ট দুপুরে পৌরশহরের ব্র্যাক পাড়ার একটি ভাড়ার বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে শাহিদার স্বামী সেলিম পলাতক রয়েছে। শাহিদা খাতুন উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। শাহিদা কয়েক মাস আগে বাবা মায়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে। স্বামী সেলিমকে নিয়ে ভাড়া বাসায়=বসবাস করছিল তারা। সেলিম হোসেন কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা। সাহিদা ও সেলিম দৈনিক হাজিরায় চৌগাছা ডিভাইন গ্রুপেরকোল্ডস্টোরে আলু বাছাইয়ের কাজ করত।
প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, সেলিম হোসেন মাঝে মধ্যে রাতে কোল্ডস্টোরে থাকত। ঘটনার দিন খুব সকালে সেলিম বাসায় গিয়ে আবার বেরিয়ে যায়। এর পরে বাসায় কোনো সাড়া শব্দ ছিলনা। একজন প্রতিবেশি পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে দেখেন ঘরের মধ্যে সাহিদা খাতুনের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহতের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, আমরা পারিবারিক ভাবে তাকে অন্য একটি ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম। তার একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। পরে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শাহিদার। এরপরে সাহিদা আমার বাড়ীতেথেকেই ডিভাইন গ্রুপের কোল্ডস্টোরে আলু বাছাইয়ের কাজ করত। সেখানে কাজ করতে গিয়ে সেলিম হোসেন নামের একটি ছেলের সাথে প্রেমের স¤পর্ক হয়। পরে আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেই ছেলেকে বিয়ে করে শাহিদা। ছেলেটির বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। সেলিমের সম্পকে এর চেয়ে বেশি কিছু আমার জানা নেই।
বাসার মালিক মামুন হোসেন বলেন, শাহিদা খাতুনের আত্মীয়-স্বজনদের অনুরোধে বাসা ভাড়া দিই। বাসা ভাড়া নেওয়ার পরে তারা বিয়ে করেছে। যে কারনে সেলিমের পরিচয় আমার জানা নেই। ঘটনার তদন্তকারি কর্মকর্তা চৌগাছার থানার এসআই বাচ্চু শেখ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে শাহিদাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী সেলিম পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
কিউএনবি/আয়শা/২৮ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:৫৫