ডেস্কনিউজঃ দক্ষিণ ইউক্রেনের রাশিয়ার দখলকৃত খেরসন অঞ্চলে কোণঠাসায় রুশ বাহিনী। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ও পশ্চিমা বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধের সম্মুখসারিতে রূশ বাহিনী অস্ত্র ও জ্বালানি চাহিদানুযায়ী যোগান বজায় রাখতে পারছে না। এর পেছনে ওই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনী যে নদী ও রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে তা যথেষ্ট একটি কারণ বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূশবাহিনী তাদের গুরুত্বপুর্ণ কমান্ড পোস্টগুলো নিপ্রো নদীর উত্তর থেকে দক্ষিণ তীরে সরিয়ে ফেলছে। কেননা সেতুগুলো ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে।
খেরসন অঞ্চল কাউন্সিলের প্রথম ডেপুটি প্রধান ইউরি সোবোলেভস্কি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানান, গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যক রূশ সামরিক কমান্ড ইতোমধ্যেই শহরটি ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইউক্রেন বাহিনীর মিকোলাইভের উত্তরে ২৫ কিলোমিটার অগ্রসর ঘটেছে।
রবিবার(১৪ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি যুদ্ধবিষয়ক বিশ্লেষকদল জানায়, রূশবাহিনী সম্ভবত নিপ্রো নদীর অপরপ্রান্তে সরে যাচ্ছে। খেরসন শহরে আটকে পড়া এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভারী গোলাবর্ষণে আন্তনিভস্কি সেতু ও আরও একটি সেতু বিধ্বস্ত করে। যার ফলে এসব সেতু দিয়ে ভারী অস্ত্রসজ্জিত যানচলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিছু জায়গায় নদীর প্রশস্ততা এত বেশি যে যেখানে পন্টুন সেতুও অকার্যকর।
ক্রিমিয়া, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে বেশকিছু রেলপথ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ইউক্রেনের দক্ষিণের সামরিক বাহিনীর কমান্ড জানায়, বিগত কিছু সপ্তাহে আমরা ১০টিরও বেশি অস্ত্রগুদাম ধ্বংস করি। তারা আরও জানায়, বেশকিছু সেতু ধ্বংস করা হয় যার ফলে রূশবাহিনীর ভারী অস্ত্রসজ্জিত বাহনের চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
যদিও এসব কোন ঘটনার পর রাশিয়া খেরসন শহর ত্যাগের কথা ঘোষণা করেনি।
কিউএনবি/বিপুল /১৬.০৮.২০২২/ রাত ৮.২৭