ডেস্কনিউজঃ ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভোলা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৩৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার আবদুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মূখ্য বিচারিক হাকিমী আদালতে এ মামলা দাখিল করেন।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আলী হায়দার কামাল মামলাটি আমলে নিয়ে ভোলা সদর থানাকে আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সুরতহাল প্রতিবেদন ও মেডিক্যাল রিপোর্টসহ সকল তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেছেন।
ভোলা সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরমান হোসেন মামলার বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনার দিন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। আমরা কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে যাইনি। তারা বেআইনি সমাবেশ করেছে। ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মেরেছে। আগুন লাগাতে গেছে। বিএনপির লোকজন ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে, আমাদের পুলিশকে গুলি করেছে। পুলিশ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। ’
ভোলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি এখনও জানতে পারিনি। কাগজপত্র হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
ভোলা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুণ অর রশিদ ট্রুম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লোড শেডিং এবং জ্বালানি খাতে ‘অব্যবস্থাপনার’ প্রতিবাদে সারাদেশে কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে গত ৩১ জুলাই ভোলা জেলা সদরেও বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ছিল বিএনপির।
সেদিন নেতা-কর্মীরা জেলা কার্যালয়ে সমাবেশ করে মিছিলের প্রস্তুতি নিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাধে। এই সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিম। ওই ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নূরে আলমের মাথায় গুলি লাগে। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে জেলা বিএনপি। যদিও তা দুপুরের পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
কিউএনবি/বিপুল/০৪.০৮.২০২২/ সন্ধ্যা ৭.৪৫