ডেস্ক নিউজ : মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল আজহা। আর এ ঈদকে সামনে রেখে পশু কোরবানির সরঞ্জাম জোগান দিতে কামার শিল্পীদের দোকানগুলো হাপর টানা আর লোহার উপর টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কামারপাড়া। ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। দম ফেলারও সময় নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে অবিরাম কাজ করে চলছেন তারা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মযজ্ঞ। কেউ ভারি হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরঙা লোহার দণ্ড। কেউ পোড়া দা ও ছুরিতে দিচ্ছেন শান। কেউবা হাপর টেনে বাতাস দিচ্ছেন।
ফরিদগঞ্জ বাজারের দুলাল কর্মকার জানান, গত বছরে এই ঈদের সময় দিনে ৩ হতে ৪ হাজার টাকা রোজগার হলেও এ বছর সেই তুলনায় বেচাবিক্রি নেই। এ বছর দিনে কত টাকা আয় হয় আপনার এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দিনে মাত্র এক হাজার ১২শ টাকার রোজগার হচ্ছে, গত বছরের তুলনায় অনেক কম। বিশ্বজিৎ কর্মকার জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতি বছর দা, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করেন। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি।
তাদের আশা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। ক্রেতা রুবেল মিয়া, ইব্রাহিম মিজি, আবুল কালামসহ কয়েকজন বলেন, কোরবানি ঈদের আর মাত্র ৪ দিন বাকি। তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছি। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বঁটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।
কিউএনবি/আয়শা/০৫ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:০৮