শহিদ আহমেদ খান সাবের,সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট সদরের হাটখোলায় জানাজা অনুষ্ঠানে হামলা ও মারামারিতে সাবেক ইউপি মেম্বারসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সিলেট দায়রা জজ আদালতের পেশকার আবুল হোসেনসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার প্রস্তুতি চলছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সিলেট সদরের হাটখালা পিঠারগঞ্জ মাদ্রাসা মাঠে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে প্রকাশ, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার ও সিলেট সদরের উত্তর হাটখোলা গ্রামের আবুল হোসেনের পিতা আব্দুল কাইয়ুম (আমরু) বুধবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পিঠারগঞ্জ আনওয়ারুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে ছিল মরহুমের জানাযা। মরহুম আব্দুল কাইয়ুমের সাথে ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার আহমদ হোসেনের লেনদেন ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মৃত্যু বরণের পর পেশকার আবুল হোসেন মোবাইল ফোনে মেম্বার আহমদ হোসেনকে খবর দেন এবং দেনা পাওনা শেষ করার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে বাড়তে এবং পরে পিঠারগঞ্জ মাদ্রাসা মাঠে তাকে আসতে বলেন।
কথা অনুযায়ী সাবেক মেম্বার আহমদ হোসেন তার স্বজনদের দিয়ে জানাযায় মাদ্রাসা মাঠে উপস্থিত হন। জানাযা পূর্বে লেনদেন নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পেশকার আবুল হোসেন ও তার লোকজন মেম্বার আহমদ হোসেনের উপর হামলে পড়েন। হামলায় আহমদ হোসেন, তার আত্মীয় আবুল খায়ের ও আহমদ হোসেনের মা ছমিরুন নেছা গুরুতর আহত হন। এ সময় মেম্বার আহমদ হোসেন ও আবুল খায়ের মাটিতে লুটে পড়লে স্থানীয়রা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে মেম্বার আহমদ হোসেন ও আবুল খায়ের সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ৩য় তলাস্থ ১১নং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন এবং আবুল খায়েরর অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার আবুল হোসেনসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটের (এসএমপির) জালালাবাদ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মুশাহিদ আলীসহ আহতদের স্বজনরা।
এজাহারে অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- পেশকার আবুল হোসেনের ভাই বাবুল হোসেন, নাজমুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন, আরব আলী, বুদু মিয়া, ফেরদৌস আহমদ, সামছুল হক, আশরাফুল হক, পেশকার আবুল হোসেনের আত্মীয় আখতারুজ্জামান সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন। এ বিষয়ে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- লেনদেন ও জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মেম্বার আহমদ হোসেন ও তার স্বজনরা আমার পিতার লাশ ছিনিয়ে নিতে চাইলে মুসল্লিরা তাদের প্রতিহত করেছেন। জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হুদা বলেন সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় আমার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ পৌঁছায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিউএনবি/আয়শা/২৯.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/রাত ৮:৪০