মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫১ অপরাহ্ন

যে পাঁচ চ্যালেঞ্জের সামনে ন্যাটো

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২
  • ১২৮ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ৭৩ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে উত্তর আটলান্টিক সামরিক জোট ন্যাটো। ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান সংস্থাটিকে সার্বিক বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। ন্যাটোর মাদ্রিদ সম্মেলনে এসব নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে ন্যাটোর সামনে এখন বড় পাঁচটি চ্যালেঞ্জ।

১. ইউক্রেন যুদ্ধের বিস্তার এড়ানো

ইউক্রেন যুদ্ধে ক্ষেত্রের ন্যাটোকে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হচ্ছে। ন্যাটো জোটে থাকা ৩০ দেশের মধ্যে তিনটি (ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) সরাসরি রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে জড়াতে চায় না। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন তার হাতে প্রচুর পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, তাই খানিকটা সীমা অতিক্রম করলেই এই যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

তাই ইউক্রেনকে ঘুরপথে সামরিক সহায়তা দিলেও ন্যাটোর পক্ষে সরাসরি রাশিয়ার বিপক্ষে যাওয়া অসম্ভব। তাই ন্যাটোভুক্ত দেশসমূহে সামরিক সহায়তা জোরদার করার বিষয়টিও সামনে আসছে।

২. ইউক্রেনের বিষয়ে ঐক্য ধরে রাখা

ইউক্রেনে হামলা চালানোর ব্যাপারে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমারা কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে বা নিষেধাজ্ঞার পরিধিই বা হবে কতোটা বিস্তৃত, সে নিয়ে এরই মধ্যে নানা দেশের মধ্যে মত বিরোধ দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে জার্মানির বিপক্ষে প্রতিশ্রুত অস্ত্র না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সাথে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে নারাজ হাঙ্গেরি। তাই ন্যাটোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ইউক্রেন ইস্যুতে একতা ধরে রাখা। কারণ অনেক ইউরোপীয় দেশই জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।

৩. বাল্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

বাল্টিক অঞ্চল নিয়ে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে বিবাদ চলছে বহুদিন। সম্প্রতি সেই বিবাদ আরও প্রকাশ্যে, বাল্টিক এলাকা হয়ে রাশিয়ার পণ্য সরবরাহে লিথুনিয়া বাধা দেওয়ার সেই সঙ্কট আরও প্রকট হয়েছে। এদিকে এস্তোনিয়ার দাবি, রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে ন্যাটোর প্রস্তুতি খুবই দুর্বল। 

ফলে এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়ার মতো নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকা দেশগুলোর আস্থা ফেরাতে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়টিও ন্যাটোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। 

৪. ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে সদস্য পদ দেওয়া

ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো যোগ দেওয়ার বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে রাশিয়া। দেশ দুটিকে এরইমধ্যে নানারকম হুমকিও দিয়ে রেখেছে মস্কো। কেবল রাশিয়া নয় এই দুই দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ এনে তুরস্কও তাদের ন্যাটোতে নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে। তবে কৌশলগত জায়গা থেকে রাশিয়াকে রুখতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে সদস্য পদ দেওয়া ন্যাটোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দুই দেশকে ন্যাটোভুক্ত করলে বাল্টিক সাগরের পুরোটাই সংস্থাটির আওতায় চলে আসবে। তাই মাদ্রিদ সম্মেলনে এই দুই দেশকে সদস্য করাও ন্যাটোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

৫. জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে

ন্যাটোভুক্ত অনেক দেশগুলো এখন তাদের জিডিপির ২ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে। বিপরীতে রাশিয়া তাদের জিডিপির ৪.১ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে। তাই পশ্চিমা সামরিক প্রধান ও বিশ্লেষকরা রাশিয়াকে রুখতে ন্যাটোভুক্ত দেশসমূহের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর তাগাদা দিয়েছে। তাই প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোও ন্যাটোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

সূত্র: বিবিসি

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৮.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit