মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ভারতের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ করবে পাকিস্তান আসিফ আকবরের ছোট ছেলেও বিয়ে করলেন নওগাঁয় ঘন কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত: বিপাকে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নোয়াখালীতে চর দখল নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ৫ তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে নওগাঁয় আনন্দ মিছিল  ‘ডন থ্রি’ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন রণবীর সিং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বেনাপোলে আনন্দ মিছিল তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে আশুলিয়ায় শ্রমিক দলের প্রস্তুতি সভা নিজ দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কা জানালেন রশিদ খান চৌগাছায় জহুরুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ 

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী আইনপ্রণেতাদের তালিকাও হবে

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২
  • ১১১ Time View

ডেস্কনিউজঃ রাজাকার, আল বদর, আল শামসের পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া এমএনএ এবং এমপিএদের তালিকা তৈরির সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

একই সঙ্গে তারা ‘মুজাহিদ বাহিনী’ ও ‘পিস কমিটির’ সদস্যদের তালিকা তৈরির বিধান রাখারও সুপারিশ করেছে।

সংসদীয় কমিটি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল পরীক্ষা করে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি-এমএনএ এবং মেম্বার অব প্রোভেন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি- এমপিএদের ওই তালিকা করার সুপারিশ করে।

সোমবার সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদনটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন।
সাধারণত কোনো খসড়া আইনে সংসদীয় কমিটি পরিবর্তনের সুপারিশ করলে সংসদে তা গ্রহণ করা হয়। গত ৬ জুন ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল-২০২২’ সংসদে উত্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিদেন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়, ‘১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাহারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্য হিসাবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসাবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসাবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থাকিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করিয়াছেন বা খুন, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের অপরাধমূলক ঘৃণ্য কার্যকলাপ দ্বারা নিরীহ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করিয়াছেন অথবা একক বা যৌথ বা দলীয় সিদ্ধান্তক্রমে প্রত্যক্ষভাবে, সক্রিয়ভাবে বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করিয়াছেন; তাহাদের তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করবে।’

কমিটি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যারা এমএনএ এবং এমপিএ নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ নেওয়ার কারণে শূন্য ঘোষিত আসনে উপনির্বাচনে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএ হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে।

সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা আছে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা এই আইনে গৃহীত হবে। সংসদীয় কমিটি ওই সংজ্ঞা বিলের ধারায় যুক্ত করেছে। কাউন্সিলের আটজন সদস্য প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়ন দেবেন, যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হবেন।

উপদেষ্টা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স কমান্ডার, সাব সেক্টর কমান্ডার অথবা কমান্ডারসমূহের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা,এই বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবও এই পরিষদে থাকবেন। কাউন্সিল মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের নিবন্ধন প্রদান, সাময়িকভাবে স্থগিত ও বাতিল করতে পারবে।

২০১৯ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিলের খসড়া তৈরি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সুপারিশও নেওয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চ মাসে আইনের ভাষা পরিমার্জনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষে পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুটি সংশোধনী দিয়ে ওই খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করা হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা গত জুনে মন্ত্রিপরিষদ সভায় পাঠানো হয়। এ বছরের জানুয়ারি মাসে খসড়া আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

রাজাকারদের তালিকা তৈরি করতে ২০২০ সালে একটি উপ-কমিটি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটি প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করবে। পরে খসড়া আইনটি মন্ত্রিসভায় যাওয়ার পর তারা সিদ্ধান্ত পাল্টায়। গত এপ্রিল মাসে আগের কমিটি ভেঙে নতুন করে উপ-কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

কিউএনবি/বিপুল /২৭.০৬.২০২২/ রাত ৯.০৭

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit