ডেস্ক নিউজ : উদ্বোধনের পর থেকে নানা ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। নিষেধাজ্ঞা ভেঙ্গে সেতুর ওপর হাঁটা, দাঁড়িয়ে ছবি তোলা, হৈ-হুল্লোড়, নামাজ পড়া, স্ক্রু খুলে নেওয়া, টিকটকার, ইউটিউবারদের ভিড়, বাইকারদের উন্মত্তার পর অবশেষে দুর্ঘটনায় দুই তরুণের প্রাণহানি- কোনোকিছুই বাদ যায়নি যান চলাচলের প্রথম দিন।
বিশেষ করে, বাইকারদের বাগে আনতে বাধ্য হয়ে সেতু কর্তৃপক্ষকে দুই চাকার যানটি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হয়।
তাই বলে বাইকাররা বসে নেই! সেতু পারাপারের জন্য সকাল থেকে সেতুর টোলকেন্দ্রে জমায়েত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনমনীয় অবস্থানের কারণে সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ফলে নদী পারাপারে বাইকারদের অনেকেই বেছে নেন ফেরিকে।
এছাড়াও সেতু পার হতে নতুন ফন্দিও বের করেছেন বাইকাররা। সোমবার সকালে অনেককে নিজেদের বাইক পিকআপে তুলে পদ্মা সেতু পার হতে দেখা গেছে।
এদিকে, স্বপ্নের সেতু দেখতে ময়মনসিংহ থেকে ফরিদপুরে এসে বিপত্তিতে পড়েছেন এক ব্যক্তি। রাতে ফরিদপুরে অবস্থান করে ফেরার পথে সেতুর জাজিরা প্রান্তে এসে দুর্ভোগে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত পিকআপে বাইক তুলে নিয়েই রওনা হয়েছেন।
এদিন সকাল থেকেই টোল প্লাজার আগেই আটকে দেয়া হচ্ছিল মোটরসাইকেল। সেখান থেকেই বাইকগুলো পিকআপে তুলে সেতু পার করা হচ্ছে। প্রতিটি পিকআপে ৫ থেকে ৬টি করে মোটরসাইকেল ওঠানো হচ্ছে। আর এজন্য ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে নিচ্ছেন পিকআপ চালকরা।
কিউএনবি/অনিমা/২৭.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:৪৮