গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিচারপ্রার্থী নারীকে মারধর ও শ্লিলতাহানীর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভূক্তভোগি গৃহবধু জেসমিন বেগম। বর্তমানে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঝালকাঠি নলছিটির মগর ইউনিয়নের খাওক্ষীর গ্রামে ক্রয়কৃত ও পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল ভাই- ভাইয়ের মধ্যে। বড় ভাই ইউনিয়ন পরিষদে দুই ভাইয়ের নামে জমি-জমা বিরোধের দরখাস্ত দেয়। এ ঘটনায় ভাইয়ের স্ত্রী ও বোন পরিষদে তাদের সালিসদারের নাম দেওয়া নিয়ে ইউপি সদস্যে শেলিম হাওলাদারের সাতে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নারীকে মারধর করে বেরকা ছিড়ে ফেলে ও তাদের ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দেওয়ার অভিযোগ করে ভুক্তভোগি নারী জেসমিন বেগম।
ভুক্তভোগি আহত জেসমিন বেগম বলেন, আমার স্বামীর সাথে এ নিয়ে বড় ভাই আব্দুস সালাম শিকদার পিতা.মৃত্যু ইসমাইল সিকদার,গত (১৩ মার্চ) মগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর, ছোট দুই ভাই আব্দুল হক শিকদার ও আব্দুল জলিল শিকদারকে বিবাদী করে তার ক্রয়কৃত ও পৈতৃক সম্পত্তি বিরোধ নিষ্পত্তি বিষয় উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। উক্ত অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান মো.এনামুল হক শাহিন বিবাদীদের নোটিস দিয়েছেন ও তাদের স্বপক্ষে উক্ত ঘটনার বর্ণনা দাখিল করে উভয় পক্ষের সালিশকারীদের নাম দেওয়ার জন্য বলেন।
সোমবার (৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে আব্দুল হক শিকদারের স্ত্রী জেসমিন বেগম ও ননদ শাহানুর বেগমকে সাথে নিয়ে মগর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে তাদের মনোনীত সালিসদার এর নাম দেওয়ার কথা ও সালিশ বৈঠক বসবে কোন স্থানে। এই কথা নিয়ে ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.সেলিম হাওলাদারের সাথে কথার কাটাকাটি হলে একপর্যায় তাদেরকে পরিষদ থেকে ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দেওয়া হয়েছে। তাতেও খ্যান্ত হয়নি উক্ত ইউপি সদস্য মো.শেলিম হাওলাদার। তাদের কে বাহিরের আমিরাবাদ রাস্তায় গিয়ে গালাগালি ও চরথাপ্পর মারতে মারতে জেসমিনের সলিলের বুকের উপরে বোরকায় থাবা মেরে ছিরে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি জেসমিনের তলপেটে ও বুকে কিল ঘুসি ও লাথি মারায় সে গুরুত্ব আহত হয়ে বুকের ব্যথার যন্ত্রনায় তার অবস্থা বেগতিক হলে সাথে সাথে নলছিটি স্বাস্থ্য কম্প্রেক্সে গিয়ে তাকে প্রাথমিক চিটিকৎসা দিয়ে নলছিটি থানায় ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ঐদিন রাতে নলছিটি হাসপাতাল থেকেও তাদের বেড় করে দেয় শেলিমের লোকজন।
রাতে উপায়ন্ত না পেয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতারে ১৮নং বেডে ভর্তি হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের নিজতলায় ভর্তি আছেন ও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ব্যাপারে নলছিটি মগর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.শেলিম হাওলাদার এবিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি পরিষদে উপস্থিত এ সময় চৌকিদার একটি কাগজ চেয়ারম্যানের সামনে দিলো যে,এদের ভাই ভাইয়ের বিষয়ে সালিশ মনোনয়ন দেওয়া হবে।
আমি বললাম আমাকেও ফোন করেছিল বাদী। সালিশ বৈঠক হবে পরিষদে এসময় মহিলারা একটু উত্তেজিত হয়ে যায়। তখন আমি তাদের সাথে একটু ধমক দিয়ে কথা বলে ধাক্কা দিয়ে বাহিরে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া আর কিছুই হয়নি। তিনি মারধরের বিষয় ও শ্লিলতা হানির ঘটনা অস্বীকার করেন। এ ব্যাপারে নলছিটি থানার এ এস আই মামুন বলেন, মগর ইউনিয়নের খাওক্ষীর গ্রামের জেসমিন বেগমের অভিযোগ এর ব্যাপারে এস আই মিজান স্যার গিয়েছিলো অভিযোগটি তার কাছে আছে এবং তিনিই তদর্ন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এব্যাপারে মগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিনের কাছে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কিউএনবি/আয়শা/০৭.০৬.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:০৫